জেনেভায় ভারতের স্থায়ী মিশনে প্রায় দু’কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠল। সেই ঘটনায় অভিযোগের তির মিশনের প্রাক্তন হিসাবরক্ষা অধিকর্তার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তিনি তাঁর ক্রিপ্টো-জুয়ায় মিশনের টাকা লাগান। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করল সিবিআই।
জানা গিয়েছে, গত বছর ১৭ ডিসেম্বর জেনেভায় ভারতের স্থায়ী মিশনে হিসাবরক্ষক অধিকর্তা হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন মোহিত নামে এক আধিকারিক। সিবিআই জানিয়েছে, মোহিতকে ইউনিয়ন অফ সুইৎজ়ারল্যান্ডের আর্থিক বিষয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেখানেই মিশনের অ্যাকাউন্টগুলি রয়েছে। সুইস ফ্রাঙ্ক অ্যাকাউন্টে গরমিল দেখা দেয়। মিশন সুইস ফ্রাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে তাদের সে দেশের গ্রাহকদের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন করত। তার ইনভয়েসে থাকত উপযুক্ত কিইউআর কোড।
মোহিতের দায়িত্ব ছিল কিইউআর কোড এবং লেনদেনের নথি ইউনিয়ন অফ সুইৎজ়ারল্যান্ডে পৌঁছে দেওয়া। শুধু তা-ই নয়, ওই অ্যাকাউন্টে কত টাকা রয়েছে, তা দেখার অধিকারও ছিল তাঁর। অভিযোগ সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েছিলেন মোহিত। সন্দেহ, কিছু গ্রাহকের কিইউআর কোড পাল্টে দিয়েছিলেন তিনি। গ্রাহকদের কিইউআর কোডের পরিবর্তে নিজের অ্যাকাউন্টের কিউআর কোড দিয়ে ‘জালিয়াতি’ করেছিলেন। তার ফলে গ্রাহকদের বদলে তাঁর সুইস ফ্রাঙ্ক অ্যাকাউন্টে অর্থ যেত।
আরও পড়ুন:
তদন্তকারীদের মতে, এই ভাবে জালিয়াতি করে এক বছরে অন্তত দু’লক্ষ সুইস ফ্রাঙ্ক (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় দু’কোটি টাকা) তছরুপ করেন মোহিত। কৌশলগত ভাবে গ্রাহকদের নামের স্লিপে নিজের নাম বসিয়ে জাল করতেন মোহিত। বিষয়টি এত নিপুণ ভাবে করা হত, তা ধরা প্রায় অসম্ভব ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জালিয়াতি ধরা পড়ে যায়। অডিটের সময় স্থানীয় এক গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে লেনদেনে গরমিল ধরা পড়লে, বিষয়টি নজরে আসে। তদন্তে নেমে মোহিতকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই।