নিরাপত্তা বাহিনীর ধারাবাহিক অভিযানের মধ্যেই ছত্তীসগঢ়ের বস্তারে আবার প্রত্যাঘাত করল মাওবাদীরা। মঙ্গলবার বিজাপুর জেলার আওয়াপল্লি থানায় মাওবাদী বাহিনীর আইইডি বিস্ফোরণে গুরুতর জখম হয়েছেন দুই সিআরপিএফ জওয়ান।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, টিমাপুর এবং মুরদান্ডা গ্রামের মধ্যবর্তী পাহাড়-জঙ্গলঘেরা এলাকায় সিআরপিএফের ২২৯তম ব্যাটালিয়ন এবং ডিস্ট্রিক্ট রিজ়ার্ভ গার্ড (ডিআরজি)-এর যৌথবাহিনী ‘রোড সিকিউরিটি অপারেশন’ (আরএসও) চালাচ্ছিল। সে সময় রাস্তাতেই পুঁতে রাখা আইইডির বিস্ফোরণ ঘটে। প্রসঙ্গত, গত ৯ জুন ছত্তীসগঢ়ের সুকমায় মাওবাদীদের পুঁতে রাখা আইইডি বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছিল জেলা পুলিশের অতিরিক্ত সুপার (এএসপি) আকাশ রাওয়ের। সেই নাশকতায় জড়িত এক মাওবাদীকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত ৩ জানুয়ারি থেকে ছত্তীসগঢ়ের বস্তার ডিভিশন জুড়ে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। নারায়ণপুর, দন্তেওয়াড়া, বিজাপুর, জগদলপুর, কোন্ডাগাঁও-সহ মাওবাদী প্রভাবিত বেশ কয়েকটি জেলায় সেই অভিযানে নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই (মাওবাদী)-র সশস্ত্র বাহিনী পিএলজিএ (পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি)-র নেতা-কর্মীদের মৃত্যুর পাশাপাশি বাড়ছে আত্মসমর্পণের প্রবণতাও। মাওবাদী পলিটব্যুরো সদস্য রামচন্দ্র রেড্ডি ওরফে চলপতি, সাধারণ সম্পাদক নাম্বালা কেশব রাও ওরফে বাসবরাজু ওরফে গগন্না, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নরসিংহচলম ওরফে সুধাকর, চৈতন্য ভেঙ্কট রবি ওরফে অরুণা-সহ একাধিক নেতা-নেত্রী নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন। পিএলজিএ-র হাত থেকে বিস্তীর্ণ এলাকা পুনরুদ্ধারও করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মাওবাদীরা মরিয়া প্রত্যাঘাতের পথে হাঁটতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ।