Advertisement
E-Paper

‘শিপমেন্ট, প্যাকেজ, অপারেশন’! উমর, মুজ়াম্মিলের ডায়েরিতে বহু সাঙ্কেতিক শব্দ উদ্ধার, পাওয়া গিয়েছে ২৫-৩০ জনের নামও

তদন্তকারী সংস্থার এক সূত্রের দাবি, আল ফালহা্‌ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ এবং ৪ নম্বর ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে ওই ডায়েরিগুলি। সন্দেহ করা হচ্ছে, ১৩ নম্বর ঘরে থাকতেন মুজ়াম্মিল। এবং ৪ নম্বর ঘরে থাকতেন উমর।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২৫ ১৫:৫০
চিকিৎসক উমর এবং মুজ়াম্মিলের ডায়েরি থেকে সাঙ্কেতিক শব্দ উদ্ধার। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

চিকিৎসক উমর এবং মুজ়াম্মিলের ডায়েরি থেকে সাঙ্কেতিক শব্দ উদ্ধার। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

দু’টি ডায়েরি। তাতে পাতা জুড়ে ভর্তি সাঙ্কেতিক শব্দ। ‘এনক্রিপ্টেড মেসেজ’। দিল্লির বিস্ফোরণকাণ্ডে হরিয়ানার ফরিদাবাদের আল ফালহা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম জড়িয়ে যেতেই সেখানে তল্লাশি অভিযানে উদ্ধার হয় দু’টি ডায়েরি। যদিও সন্দেহভাজন জঙ্গিদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও যোগসূত্র ছিল না বলেই দাবি করেছেন কর্তৃপক্ষ। টাইমস অফ ইন্ডিয়া-র প্রতিবেদন বলছে, তদন্তকারী সংস্থার সূত্রে খবর, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ঘরে দুই চিকিৎসক উমর-উন-নবি এবং মুজ়াম্মিল আহমেদ থাকতেন, সেই দুই ঘর থেকে বেশ কয়েকটি নোটবুক এবং ডায়েরি উদ্ধার হয় মঙ্গল এবং বুধবারের তল্লাশি অভিযানে।

ওই সূত্রের দাবি, আল ফালহা্‌ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ এবং ৪ নম্বর ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে ওই ডায়েরিগুলি। সন্দেহ করা হচ্ছে, ১৩ নম্বর ঘরে থাকতেন মুজ়াম্মিল। এবং ৪ নম্বর ঘরে থাকতেন উমর। তদন্তকারী সংস্থার এক সূত্রের খবর, যে ডায়েরি এবং নোটবুক উদ্ধার হয়েছে, তাতে বহু সাঙ্কেতিক শব্দ, বেশ কয়েক জনের নাম, ফোন নম্বর উদ্ধার হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, ৮ থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত তারিখও উল্লেখ করা হয়েছে। আর তা থেকেই তদন্তকারীদের সন্দেহ, ভারতে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ছক কষা হয়েছিল। ওই সূত্র আরও দাবি করেছে, ডায়েরিতে ‘শিপমেন্ট, প্যাকেজ এবং অপারেশন’-এর মতো সাঙ্কেতিক শব্দ পাওয়া গিয়েছে। এমনকি, ‘অপারেশন’ শব্দটি উদ্ধার হওয়া ডায়েরিগুলির বেশ কয়েক জায়গায় বার বার লেখা রয়েছে। আর তা থেকেই তদন্তকারীদের অনুমান, ধারাবাহিক বিস্ফোরণের পরিকল্পনা হয়েছিল ভারতে। তদন্তকারীদের ওই সূত্রের দাবি, ডায়েরি থেকে ২৫-৩০ জনের নাম পাওয়া গিয়েছে। তাঁদের বেশির ভাগই জম্মু-কাশ্মীরের এবং ফরিদাবাদ ও তার আশপাশের এলাকার। আর এখান থেকেই তদন্তকারীদের সন্দেহ, তাঁদের মতোই লোকজনকে নিজেদের দল শামিল করতেন যাতে কেউ সন্দেহ করতে না পারে। আর এ ভাবেই গড়ে তোলা হয়েছে ‘ডক্টর মডিউল’।

সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই আল ফালহা্‌ হাসপাতালের বেশ কয়েক জন কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আটক করা হয়েছে। ওই সূত্র জানাচ্ছে, যদি ১০ নভেম্বর দিল্লিতে ওই বিস্ফোরণ না হত, ডায়েরিতে যে ৮-১২ নভেম্বরের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, ওই সময়ের মধ্যে বড় বিস্ফোরণ ঘটানো হত দেশ জুড়ে। এমনটাই মনে করছেন তদন্তকারীরা।

তদন্তকারীদের একটি সূত্র জানাচ্ছে, উমর এবং মুজ়াম্মিলের যে ডায়েরি উদ্ধার হয়েছে, সেগুলির সাঙ্কেতিক শব্দের অর্থ উদ্ধার হলে অনেক তথ্য উঠে আসবে। ওই সূত্রের দাবি, উমর, মুজ়াম্মিলদের পরিচালনা করা হত বিদেশ থেকে। আর সেই যোগাযোগ হত টেলিগ্রাম, সেশন নামে শক্তিশালী ‘এনক্রিপ্টেড’ মেসেজিং অ্যাপের মাধ্যমে। দিল্লির লালকেল্লার কাছে যে গাড়িটি বিস্ফোরণ হয়েছে, তাতে চালকের আসনে ছিলেন উমরই। ডিএনএ নমুনার রিপোর্টে তেমনই নিশ্চিত করা হয়েছে বলে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর। আল ফালহা্‌ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ নম্বর ঘর নিয়েও রহস্য বাড়ছে। আর এই ঘরের পাশেই রয়েছে গবেষণাগার। তদন্তকারীরা মনে করছেন, এই ঘরই ছিল চিকিৎসক উমর, মুজ়াম্মিল এবং চিকিৎসক আদিলদের ‘পরিকল্পনা তৈরির কেন্দ্র’।

Delhi Blast
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy