ওরেভা সংস্থার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। ফেরার সংস্থার উপরতলার কর্মীরা। — ফাইল ছবি।
গুজরাতের মোরবীর ঝুলন্ত সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় গ্রেফতার ন’জন। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন ওই সেতু সংস্কারের দায়িত্বে থাকা সংস্থার কর্মী, টিকিট বিক্রেতা, নিরাপত্তারক্ষী। ওরেভা নামে একটি সংস্থা ব্রিটিশ আমলের ওই সেতুটি সংস্কার করে। অভিযোগ, স্বাস্থ্যপরীক্ষা ছাড়াই চালু করা হয়েছে সেতু। ‘গাফিলতি’ অভিযোগে সোমবার গ্রেফতার ওই সংস্থার মাঝারি স্তরের কর্মীরা। ফেরার সংস্থার উপরতলার কর্মীরা।
২৬ অক্টোবর মোরবীর সেতু চালু হওয়ার পাঁচ দিনের মাথায় রবিবার ঘটে দুর্ঘটনা। রবিবার সেতু ভেঙে মারা গিয়েছেন ১৪১ জন। জানা গিয়েছে, সেতুর প্রযুক্তিগত সংস্কারের দায়িত্ব অন্য একটি ছোট সংস্থার হাতে তুলে দিয়েছিল। ওই সংস্থার নাম ‘দেবপ্রকাশ সলিউশন’।
এই ওরেভা সংস্থার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,সময়ের আগেই সেতুটি জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। অভিযোগ, তার আগে প্রশাসনের সম্মতি নেওয়া হয়নি। সেতুর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করিয়ে কোনও ‘ফিটনেস সার্টিফিকেট’ও নেওয়া হয়নি।
গত মার্চে সেতুর সংস্কারের দায়িত্ব নেয় সংস্থা। সংস্কারের জন্য দীর্ঘ ৭ মাস সেতুটি বন্ধ ছিল।গুজরাতি নববর্ষ উপলক্ষে সেটি ২৬ অক্টোবর খুলে দেওয়া হয়।যদিও চুক্তি অনুযায়ী ওরেভা সংস্থা সংস্কার এবং মেরামতের জন্য সেতুটি আট থেকে ১২ মাস বন্ধ রাখতে বাধ্য। কিন্তু চুক্তি ভেঙেই সেই সেতু খুলে দেয় তারা।
ওই ওরেভা গোষ্ঠীরই একটি অংশ অজন্তা ম্যানুফ্যাকচারিং প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গেও একটি চুক্তি হয়েছিল মোরবী পুরসভার। ১৫ বছরের জন্য ছিল সেই চুক্তি। চুক্তি মেনে আগামী ৩৭ বছর পর্যন্ত প্রতি বছর সেতুতে প্রবেশের মূল্য বাড়াতে পারবে ওই সংস্থা। রবিবার সেই সেতুতে ১২ থেকে ১৭ টাকার টিকিট কেটে উঠেছিলেন প্রায় ৫০০ জন। যেখানে সেতুর ধারণক্ষমতা ছিল ১২৫ জন।
মোরবী পুরসভার তরফে সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, ওরেভা সংস্থা তাদের কাছ থেকে কোনও শংসাপত্র নেয়নি। এমনকি সেতু সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যও সরকারকে জানানো হয়নি বলে অভিযোগ। ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে গুজরাত সরকার ৪ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এ ছাড়া আহতদের ৫০ হাজার টাকা দেবে সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy