Advertisement
E-Paper

জবরদখল ঘিরে অগ্নিগর্ভ মথুরা, পুলিশ সুপার খুন, হত আরও ২৩

জমির জবরদখলকারীদের হঠাতে গিয়ে পুলিশ-জনতার সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল উত্তরপ্রদেশের মথুরা। দু’পক্ষের সংঘর্ষে মৃত্যু হয় দুই পুলিশ অফিসার-সহ অন্তত ২৪ জনের।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০১৬ ১০:৪৫

জমির জবরদখলকারীদের হঠাতে গিয়ে পুলিশ-জনতার সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল উত্তরপ্রদেশের মথুরা। দু’পক্ষের সংঘর্ষে মৃত্যু হয় দুই পুলিশ অফিসার-সহ অন্তত ২৪ জনের। মৃতেরা হলেন স্টেশন হাউজ অফিসার (এসএইচও) সন্তোষকুমার যাদব এবং পুলিশ সুপার (সিটি) মুকুল দ্বিবেদী। আরও পাঁচ পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

ঠিক কী হয়েছিল?

আজাদ ভারত বিধিক বিচারক ক্রান্তি সত্যাগ্রহী নামে একটি সংগঠনের প্রায় তিন হাজার লোক মথুরার জওহরবাগে ২৮০-একরের একটি সরকারি জমি দখল করে সেখানে বসবাস করছিলেন। অবৈধ ভাবে জমি দখল করে থাকায় ইলাহাবাদ হাইকোর্ট থেকে তাঁদের উচ্ছেদের নির্দেশ দেওয়া হয় প্রশাসনকে। আদালতের নির্দেশ পেয়ে বৃহস্পতিবার সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখানে পৌঁছতেই পুলিশের উপর ইট-পাথর দিয়ে প্রথমে হামলা চালায় জবরদখলকারীরা। তাঁদের হঠাতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে, কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। তাতেও দমেনি হামলাকারীরা। এর পরেই পুলিশকে লক্ষ্য করে অতর্কিতে গুলি চালাতে শুরু করে তারা। পাল্টা গুলি চালায় পুলিশও। উভয় পক্ষের গুলির বিনিময়ে দুই পুলিশকর্মী-সহ ২৪ জনের মৃত্যু হয়। পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীরা তাদের লক্ষ্য করে হ্যান্ড গ্রেনেডও ছোড়ে। তাতে বেশ কয়েক জন পুলিশকর্মী আহত হন। সূত্রের খবর, এই সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ২৪ জন পুলিশকর্মী-সহ ৫০ জন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশাল পুলিশবাহিনী সেখানে পৌঁছয়। টানা পাঁচ ঘণ্টা সংঘর্ষের পর জহওরবাগে ঢুকতে পারে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে প্রচুর কার্তুজ, বারুদ, ৪৫টি রাইফেল এবং বেশ কিছু দেশি বন্দুক উদ্ধার করা হয়। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব এবং ডিজিকে পুরো ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব। পাশাপাশি, মৃত দুই পুলিশকর্মীর পরিবারকে ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন।

পুলিশ জানিয়েছে, হামলার পুরোভাগে ছিলেন সংগঠনের নেতা রামবৃক্ষ যাদব এবং তাঁর নিরাপত্তারক্ষী চন্দন গওর। সমর্থকদের সহযোগিতায় তাঁরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই সংগঠনের নেতা রামবৃক্ষ গত দু’বছর আগে অন্য একটি ধর্মীয় সংগঠন থেকে আলাদা হয়ে যায়। তার পর আজাদ ভারত বিধিক বিচারক ক্রান্তি সত্যাগ্রাহী নামে এই সংগঠনটি খোলেন। ধর্নার নামে তিনি এবং তাঁর সমর্থকরা জওহরবাগের ২৮০ একরের ওই সরকারি জমি জবরদখল করে নেয়। আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও ওই জমি ছাড়তে নারাজ ছিলেন রামবৃক্ষ। তার পরই আদালতের নির্দেশ পেয়ে সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ।

ভিডিওতে দেখুন...

আরও পড়ুন...

১৪ বছর আগের গুলবার্গ গণহত্যায় দোষী ২৪

Mathura Violence Jawaharbagh
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy