চিন সীমান্তে ওষধির খোঁজে গিয়ে নিখোঁজ। প্রতীকী ছবি।
ফের চিন সীমান্তে ওষধির খোঁজে গিয়ে নিখোঁজ হলেন অরুণাচলের দুই যুবক। আনজাও জেলার ঘটনা। পুলিশ জানায়, বাতেইলুম টিকরো ও বেয়িংসো মানয়ু নামে দুই যুবক গত ১৯ অগস্ট গোইলিয়াংয়ের বাড়ি ছেড়ে ছাগলম এলাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন। গত ২৪ অগস্টের পর থেকে তাঁদের আর খোঁজ মিলছিল না। পরিবারের লোকেরা গত দেড় মাস ধরে নিজেরাই দুই যুবকের সন্ধান চালিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত পুলিশের দ্বারস্থ হন তাঁরা।
আনজাওয়ের এসপি রিকে কামসি জানান, সম্প্রতি পরিবারের তরফে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সব স্তরে জানানো হয়েছে। পরিবারের সন্দেহ, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পার করে ফেলায় চিনা সেনা দু’জনকে ধরে নিয়ে গিয়েছে। এসপি বলেন, ‘‘আমরা পরিবারের সদস্য ও নিয়ন্ত্রণরেখার কাছাকাছি গ্রামের মানুষদের বয়ান জোগাড় করছি। ফল, আনাজ, খাবার, ওষধির সন্ধানে সেখানকার মানুষ প্রায়ই জঙ্গলে ঢোকেন। বেশ কিছু দিন কাটান। সেখানে মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই। গোইলিয়াং থেকে ওই এলাকায় যেতে ১০-১২ দিন হাঁটতে হয়।’’
চলতি বছরের জানুয়ারিতেই মিরাম টারোন নামে ১৭ বছরের এক যুবককে অরুণাচলের আপার সিয়াংয়ের জঙ্গলে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন এলাকা থেকে চিনা সেনা ধরে নিয়ে যায়। সেই খবর প্রথমে ভারতীয় সেনাকে জানানোও হয়নি। পরে ভারতের তরফে চাপ বাড়ায় মিরামকে ধরে রাখার কথা স্বীকার করে পিএলএ। ৯ দিন পরে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। মিরাম ফিরে এসে জানান, পিএলএ শিবিরে লাইটারের মতো কোনও যন্ত্র দিয়ে তাঁকে বেশ কয়েক বার শক দেওয়া হয়েছিল। মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে চোখ বাঁধা অবস্থায় গুলিও চালানো হয়েছিল তাঁর আশপাশ দিয়ে। ২০২০ সালেও আপার সুবনসিরি জেলার নাচো সার্কল থেকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে জঙ্গলে খাবার সংগ্রহে যাওয়া পাঁচ যুবককে অপহরণ করেছিল চিনা সেনা। দীর্ঘ কূটনৈতিক আলোচনার পরে কিবিথুতে নিয়ে এসে ওই পাঁচ জনকে তারা মুক্তি দিয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy