Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

দাউদ-সম্পত্তির খোঁজ শুরু আমিরশাহিতে

সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে বেনামে থাকা দাউদ ইব্রাহিমের সম্পত্তির প্রকৃত মালিকানা জানার প্রক্রিয়া শুরু করল সে দেশের প্রশাসন। গত সপ্তাহে ভারতে এসেছিলেন সে দেশের বিদেশমন্ত্রী শেখ আব্দুল্লা বিন জায়েদ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০২:৩৬
Share: Save:

সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে বেনামে থাকা দাউদ ইব্রাহিমের সম্পত্তির প্রকৃত মালিকানা জানার প্রক্রিয়া শুরু করল সে দেশের প্রশাসন। গত সপ্তাহে ভারতে এসেছিলেন সে দেশের বিদেশমন্ত্রী শেখ আব্দুল্লা বিন জায়েদ। সরকারি সূত্রের খবর, অগস্ট মাসে নরেন্দ্র মোদী দুবাই সফরের সময় দাউদের সম্পত্তি নিয়ে তথ্য দিয়ে এসেছিলেন। সেই তথ্যের ভিত্তিতে আমিরশাহি প্রশাসন কাজ শুরু করেছে বলে আশ্বাস দিয়েছেন বিন জায়েদ।

মুম্বই বিস্ফোরণের অন্যতম অভিযুক্ত দাউদ পাকিস্তানে যাওয়ার আগে দুবাইয়েই থাকতেন। ২০০৬ সালে ইন্টারপোল তাঁর নামে রেড কর্নার নোটিস জারি করার পরে দাউদ পাকাপাকি ভাবে পাকিস্তানে চলে যান। কিন্তু আমিরশাহিতে তাঁর সাম্রাজ্যের অনেকটাই এখনও সক্রিয় বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। সূত্রের খবর, নব্বইয়ের দশকে আমিরশাহিতে বড় মাপের সাম্রাজ্য ছিল দাউদের। হোটেল, নির্মাণ শিল্প, হাওয়ালার মাধ্যমে অর্থ আদানপ্রদানের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত ছিল ডি কোম্পানি। গোয়েন্দাদের মতে, এখনও তাঁর বিশ্বস্ত সহযোগী জাভেদের মাধ্যমে দুবাইয়ে সাম্রাজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন দাউদ।

গোয়েন্দাদের মতে, দুবাইয়ে এখনও দাউদের ভাই আনিস ও তাঁর এক শ্যালকের নামে বিপুল সম্পত্তি রয়ে গিয়েছে। এগুলি সবই দাউদের সম্পত্তি। স্রেফ আইনগত জটিলতা এড়াতে এগুলি পরিবারের অন্যান্য সদস্যের নামে হস্তান্তর করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও আমিরশাহির বেশ কিছু সংস্থার শেয়ার রয়েছে দাউদ ও তাঁর পরিবারের নামে।

গোয়েন্দাদের কাছে দাউদের শেষ যে ছবি হাতে এসেছে তাতে দাউদের গোঁফ কামানো। মাথার চুলও পাতলা হয়ে গিয়েছে। গোয়েন্দাদের দাবি, দাউদ, তাঁর স্ত্রী মেহজাবিন, ছেলে মইন নওয়াজ ও তিন মেয়ে মাহরুখ, মেহরিন ও মাজিয়া-বাবার সঙ্গে পাকিস্তানেই থাকেন। তবে দাউদের স্ত্রী ও পরিবারের অন্যেরা প্রায়শই করাচি থেকে দুবাই যাতায়াত করেন বলে তথ্য এসেছে গোয়েন্দাদের কাছে। গত মাসে আমিরশাহি সফরে গিয়ে দাউদের সম্পত্তির তালিকা দিয়ে তা বাজেয়াপ্ত করার জন্য সে দেশের সরকারকে অনুরোধ করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। আজ কেন্দ্রের একটি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, ওই সম্পত্তির প্রকৃত মালিকানা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আমিরশাহির বিদেশমন্ত্রী বিন জায়েদ। ভারতের দাবি সত্য হলে পদক্ষেপ করা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE