Advertisement
১১ মে ২০২৪

জলে ফেরা হল না নীল তিমির

টানা বারো ঘণ্টা চেষ্টার পরেও বাঁচানো গেল না পৃথিবীর সবচেয়ে বড় স্তন্যপ্রায়ী প্রজাতির প্রাণীটিকে। আলিবাগের সৈকতে সাঁতরে আসা প্রায় ২০ টনের নীল তিমিটি মারাই গেল। বুধবার সকালে ৪০ ফুট দৈর্ঘ্যের ওই প্রাণী জোয়ারের জলে চলে আসে সৈকতের খুব কাছে।

সংবাদ সংস্থা
মুম্বই শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০১৫ ০৪:১২
Share: Save:

টানা বারো ঘণ্টা চেষ্টার পরেও বাঁচানো গেল না পৃথিবীর সবচেয়ে বড় স্তন্যপ্রায়ী প্রজাতির প্রাণীটিকে। আলিবাগের সৈকতে সাঁতরে আসা প্রায় ২০ টনের নীল তিমিটি মারাই গেল। বুধবার সকালে ৪০ ফুট দৈর্ঘ্যের ওই প্রাণী জোয়ারের জলে চলে আসে সৈকতের খুব কাছে। পরে জল কমলে সেখান থেকে তার আর ফেরা হল না গভীর সমুদ্রে। আজ এ কথা জানান, মহারাষ্ট্রের বন দফতরের চিফ কনজারভেটর (ম্যানগ্রোভ) এন বাসুদেবন। তিনি আরও জানান, আলিবাগের সৈকতে জলের গভীরতা বেশি নয়। তা-ই জলের অভাবেই তিমিটির মৃত্যু হয়েছে।

রাষ্ট্রপুঞ্জের উন্নয়ন পর্ষদ (ইউএনডিপি) এবং ভারত সরকারের গবেষকদের একটি দল শুশুকদের উপর সমীক্ষা চালিয়ে মহারাষ্ট্রের সমুদ্রে নজর রাখছিলেন। গবেষণা চলাকালীন বড় তিমি তাঁদের চোখে পড়ে। এপ্রিলেই যেমন কোঙ্কনের এক গবেষক জানিয়েছিলেন, চলতি বছরের ২৮ মার্চ তাঁরা দেখতে পান নীল ‘মা’ তিমি এবং সঙ্গে তার ছানার।

আজ এন বাসুদেবন জানান, আলিবাগের সৈকতে তিমিটিকে ঘিরে হইচই পড়ে যায়। পরে বন দফতরের কর্মীদের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দারা এগিয়ে আসেন তিমিটিকে জলে ফেরাতে। টানা বারো ঘণ্টার চেষ্টার পরেও বাঁচানো গেল না প্রাণীটিকে।

এর আগে ১৯১৪ সালে ভারতের মহারাষ্ট্র উপকূলে শেষ বার দেখা মিলেছিল একটি নীল তিমির। তার পর একশো বছর পার করে ফের গবেষকদের মুখে হাসি ফুটিয়েছিল প্রাণীটি। কিন্তু সেই হাসিও বেশি দিন স্থায়ী হল না। তবে আশার কথা, গত বছর থেকে চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত গবেষক দলটি মরাঠা উপকূলে প্রায় ৬৭৫টি শুশুকের সন্ধান পেয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

blue whale alibag beach blue whale dead
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE