Advertisement
E-Paper

Unemployment: ডিসেম্বরে বেকারত্ব মাথা তুলে চার মাসের সর্বোচ্চ

সিএমআইই-র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অগস্টের পরে উৎসবের মরসুমের মুখ থেকে বেকারত্বের হার কিছুটা হলেও কমেছিল।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২২ ০৬:৫০
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর নানাবিধ পরিসংখ্যান হোক, কিংবা হোক উৎসবের মরসুমে মাথা তোলা ব্যবসা। কোনও কিছুই যে কাজের বাজারে বিশেষ রমরমা আনতে পারেনি, তা পরিষ্কার হল সিএমআইই-র পরিসংখ্যানে। উপদেষ্টা সংস্থাটি তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে, ডিসেম্বরে সারা দেশে বেকারত্বের হার বেড়ে হয়েছিল ৭.৯%। যা গত চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে গত অগস্টে ওই হার ৮.৩% ছিল। সংশ্লিষ্ট মহলের উদ্বেগ, ওমিক্রনের কাঁধে চেপে করোনা সংক্রমণ ইদানীং বাড়ছে। চোখ রাঙাচ্ছে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা। এই অবস্থায় অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর পথ তো রুদ্ধ হতে পারেই, সেই সঙ্গে বেকারত্বের হার আরও বৃদ্ধির সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

সিএমআইই-র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অগস্টের পরে উৎসবের মরসুমের মুখ থেকে বেকারত্বের হার কিছুটা হলেও কমেছিল। যদিও তা বিশেষ আহামরি ছিল না। নভেম্বরে তা দাঁড়ায় ৭%। কিন্তু ডিসেম্বরেই ফের এক লাফে তা ৭.৯ শতাংশে পৌঁছে যায়। উদ্বেগের আরও বড় কারণ হল, ওই সময়ের মধ্যে শহরাঞ্চলে বেকারত্বের হার বেড়ে হয়েছে ৯.৩%। গ্রামাঞ্চলে কিছুটা কম, ৭.২৮%। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, গ্রামের দিকে মানুষের হাতে কাজ তুলে দেওয়ার জন্য ১০০ দিনের কাজ-সহ কিছু রোজগার প্রকল্প রয়েছে সরকারের। রবি মরসুমে চাষের কাজেও যুক্ত রয়েছেন অনেকে। তার ফলে গ্রামে বেকারত্বের হার কিছুটা হলেও কম। কিন্তু করোনার আক্রমণের পর থেকে শহরের ছোট-মাঝারি ক্ষেত্র ও অসংগঠিত ক্ষেত্রের বিপদ এখনও কাটেনি। তারই প্রভাব পড়েছে পরিসংখ্যানে। তাঁদের আরও মত, গত এক বছরে অর্থনীতি যতটুকু ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছে তাতে বৃহৎ সংগঠিত ক্ষেত্রের অবদানই বেশি। আর তা হয়েছে ছোট-মাঝারি এবং অসংগঠিত ক্ষেত্রের ক্ষতির বিনিময়ে। তার বিরূপ প্রভাব এড়িয়ে থাকতে পারেনি কাজের বাজারও। এই ক্ষেত্রগুলিই কাজ দেয় সবচেয়ে বেশি। সংক্রমণ ঠেকাতে নতুন বছরের গোড়ায় বিভিন্ন বিধিনিষেধ চালু করেছে একাধিক রাজ্য। কাজের পরিসংখ্যানে তার সম্ভাব্য প্রভাব নিয়েও চিন্তিত বিশেষজ্ঞেরা।

সিএমআইই কর্তা মহেশ ব্যাসের বক্তব্য, ডিসেম্বরে বাজারে কাজ বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু কাজের খোঁজে নামা মানুষের তুলনায় তা অনেকটাই কম।

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে জাতীয় পরিসংখ্যান দফতরের ফাঁস হওয়া রিপোর্টে জানা গিয়েছিল, ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে দেশে বেকারত্বের হার ছিল ৬.১%, যা কিনা চার দশকের সর্বোচ্চ। সেই সময়ে কেন্দ্র দাবি করেছিল ওই রিপোর্ট অসম্পূর্ণ। কিন্তু নির্বাচনে বিজেপির বিপুল জয়ের পরে মোদী সরকার রিপোর্টের সত্যতা স্বীকার করে নেয়। সিএমআইই-র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশের অর্থনীতিতে করোনার ধাক্কা লাগার পর থেকে ধারাবাহিক ভাবে বেকারত্বের হার তার থেকেও উঁচুতে ছিল। সরকারি পরিসংখ্যান দফতর যেহেতু দৈনিক, সাপ্তাহিক কিংবা মাসিক বেকারত্বের হিসাব দেয় না, তাই বেসরকারি উপদেষ্টা সংস্থা হলেও সিএমআইই-র পরিসংখ্যানকে অর্থনীতিবিদ এবং সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞেরা গুরুত্ব দেন।

Unemployment Job Coronavirus in India
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy