Advertisement
১১ মে ২০২৪
Adityanath

Stray Cattle: আদিত্যনাথের সভার আগে মাঠে গরু ছেড়ে অভিনব প্রতিবাদ বরাবাঁকির কৃষকদের

আদিত্যনাথ টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর একটি ভিডিয়ো। যেখানে ভোট প্রচারে বক্তৃতারত মোদীকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘১০ মার্চ ফলপ্রকাশের পর উত্তরপ্রদেশ সরকার পরিত্যক্ত গবাদি পশুদের নিয়ে পরিকল্পনা রূপায়ণ শুরু করে দেবে। এই সমস্যা থেকে মুক্তির পথ আমরা পেয়ে গিয়েছি।’ যদিও কী সেই পথ, তা খোলসা হয়নি প্রধানমন্ত্রীর ভাষনে। স্পষ্ট করেননি আদিত্যনাথও।

গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।

সংবাদ সংস্থা
বারাবাঁকি শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১০:০৩
Share: Save:

উত্তরপ্রদেশে চলছে চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ। এ বারের ভোটে অন্যতম বড় ইস্যু পরিত্যক্ত গবাদি পশু। সে দিকে নজর ঘোরাতে অভিনব পন্থা নিলেন বরাবাঁকির কৃষকদের একাংশ। বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথের জনসভার আগে, সভা ময়দানে ছেড়ে দিলেন বয়স্ক গবাদি পশুদের। সেই ভিডিয়ো মুহূর্তে ভাইরাল, ঘুরছে নেটমাধ্যমে। যদিও এ নিয়ে প্রশাসন বা আদিত্যনাথের সরাসরি কোনও বিবৃতি এখনও পাওয়া যায়নি।

আদিত্যনাথের উত্তরপ্রদেশে বন্ধ কষাইখানা। এর ফলে বয়স্ক গবাদি পশুদের নিয়ে সমস্যায় কৃষকরা। কারণ, বয়স্ক গবাদি পশুকে গোয়ালে বসিয়ে খাওয়ানোর মতো আর্থিক সংস্থান বেশির ভাগ কৃষকেরই নেই। তাই কাজে অক্ষম গরু, মোষকে রাস্তায় ছেড়ে দেওয়াই ইদানীং রেওয়াজ উত্তরপ্রদেশে। কিন্তু তাতেও সমস্যা বিস্তর। পরিত্যক্ত গরু রাস্তায় ঘুরতে ঘুরতে ঢুকে পড়ে চাষের খেতে। নষ্ট হয় কৃষকের বহু পরিশ্রমের ফসল।

বুড়ো গরু যাতে ফসলের ক্ষতি না করতে পারে, সে জন্য রাত জেগে খেত পাহারার পাশাপাশি খেত ঘিরতে কাটাতারের বেড়া পর্যন্ত দিতে বাধ্য হয়েছেন উত্তরপ্রদেশের বহু কৃষক। এ বার সেই সমস্যাকে নেতার চোখে তুলে ধরতে অভিনব পন্থ নিলেন বরাবাঁকির কৃষকদের একাংশ। ভোট প্রচারে আদিত্যনাথ আসছেন শুনেই তাঁরা জনসভার মাঠে ছেড়ে দিলেন পরিত্যক্ত গবাদি পশুদের। গোটা মাঠ জুড়ে চড়ে বেরালো তারা। এই ভিডিয়ো টুইট করেছেন এসপি (সমাজবাদী পার্টি) বিধান পরিষদ সদস্য রাজেশ যাদব। যা মুহূর্তে ভাইরাল হয়েছে।

যদিও এ নিয়ে সরাসরি কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি আদিত্যনাথ। তবে টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর একটি ভিডিয়ো। যেখানে ভোট প্রচারে বক্তৃতারত মোদীকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘১০ মার্চ ফলপ্রকাশের পর উত্তরপ্রদেশ সরকার পরিত্যক্ত গবাদি পশুদের নিয়ে পরিকল্পনা রূপায়ণ শুরু করে দেবে। এই সমস্যা থেকে মুক্তির পথ আমরা পেয়ে গিয়েছি।’ যদিও কী সেই পথ, তা খোলসা হয়নি প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে। স্পষ্ট করেননি আদিত্যনাথও।

২০১৯ সালে আদিত্যনাথের সরকার পরিত্যক্ত গরুর আশ্রয়স্থল তৈরির জন্য রাজ্য বাজেটে অর্থের সংস্থান করেছিল। জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল আশ্রয়স্থল তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে। কিন্তু বছর তিনেক পেরিয়ে গেলেও, পরিত্যক্ত গবাদি পশুদের নিয়ে কৃষকদের মাথাব্যথা কমেনি। এ বার অভিনব কায়দায় সেই সমস্যার কথাই তাঁরা তুলে ধরলেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রীর সামনে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE