কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে পুজো দিচ্ছেন রাহুল গাঁধী, প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। শুক্রবার বারাণসীতে। নিজস্ব চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রোড শো, রাহুল গান্ধী, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরার প্রচার এবং অখিলেশ যাদবের রোড শো — উত্তরপ্রদেশে ভোটপ্রচারের শেষবেলায় আজ জমজমাট বারাণসী।
আগামী ৭ মার্চ, সোমবার উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের অন্তিম পর্বের ভোটগ্রহণ। আজ দুপুরে নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র বারাণসীতে ভোটের প্রচার সারলেন প্রধানমন্ত্রী। বারাণসী উত্তর, বারাণসী দক্ষিণ এবং বারাণসী ক্যান্টনমেন্ট— তিন বিধানসভা কেন্দ্রে জুড়ে প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার রোড শো করেন তিনি। মলদহিয়া চকে সর্দার বল্লভভাই পটেলের মূর্তি মালা দিয়ে রোড শো শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। মাথায় গেরুয়া টুপি, গলায় তোয়ালে জড়িয়ে রোড শোয়ে শামিল হন। মোদীর রোড শোয়ে ছিল উপচে পড়া ভিড়। বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের পাশাপাশি, রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে আমজনতাও। ‘জয় শ্রীরাম’ এবং ‘হর হর মহাদেব’ ধ্বনি দিতে দিতে প্রধানমন্ত্রীর গাড়িতে গোলাপের পাপড়ি-বৃষ্টি করতে থাকেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। সংস্কার শুরু
হওয়া কাশী-বিশ্বনাথ কমপ্লেক্সের অদূরে শেষ হয় মোদীর রোড শো। পরে মন্দিরে পুজো দেন প্রধানমন্ত্রী। বারাণসী শহরের বিজেপি সভাপতি বিদ্যাসাগর রাই জানান, আজ রাতে মোদী ডিজেল লোকমোটিভ ওয়ার্কসের অতিথি নিবাসে থাকবেন। আগামিকাল তাঁর সভা করার কথা রোহানিয়া বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত খাজুরিয়াহ গ্রামে।
আজ রোড শোয়ের আগে মির্জাপুরে নির্বাচনী সভা করেন মোদী। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘আমার লক্ষ্য প্রতিটি গরিব মানুষের নিজের বাড়ি থাকবে। সমাজবাদী পার্টির সরকার মির্জাপুরে গরিবদের জন্য মাত্র ৮০০টি বাড়ি বানিয়েছিল। গত পাঁচ বছরে বিজেপি সরকার গরিবদের জন্য শুধু মির্জাপুরেই ২৮ হাজার বাড়ি বানিয়েছে।’’
মোদীর নির্বাচনী কেন্দ্রে আজ ছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং দলের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরাও। উভয়েই কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে পুজো দেন। তার পরে তাঁরা পিন্দ্রায় কংগ্রেসের হয়ে প্রচার করেন। সেখানে তিনি ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয় পড়ুয়াদের উদ্ধারে মোদী সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগ তোলেন। দিন দুয়েক আগে এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেছিলেন, যে সব পড়ুয়া ভারতে ফেল করেন তাঁরা বিদেশে ডাক্তারি পডতে যান। সেই প্রসঙ্গ টেনে রাহুল বলেন, ‘‘আমাদের দেশের পড়ুয়ারা ইউক্রেনে আটকে পড়েছেন। সেখানে বোমা পড়ছে। তাঁরা একটি ভিডিয়ো তৈরি করে বাঁচানোর আর্জি জানাচ্ছেন। আর এখানে মোদীর লোকেরা বলছেন, ওই পড়ুয়ারা দেশে ব্যর্থ হয়েছিল, তাই বিদেশে গিয়েছেন। অথচ তাঁরা ভারতের নাগরিক। ইউক্রেনে পড়তে যাওয়া পড়ুয়াদের রক্ষা করার দায়িত্ব কি সরকারের নয়?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy