ওঝা বলেছিলেন, তাঁর দুই সন্তানের মৃত্যুর জন্য দায়ী ১৭ বছরের এক কিশোর। সেই কথা শুনে নিজেরই আত্মীয় এক কিশোরকে খুন করলেন প্রৌঢ়। তার পর দেহ টুকরো টুকরো করে ফেলে দিলেন নর্দমায়। চলতি সপ্তাহে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযুক্ত প্রৌঢ়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের নাম শরণ সিংহ। বুধবার রাতে তাঁকে প্রয়াগরাজের কারেলি এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিহতের নাম পীযূষ। ১৭ বছর বয়সি ওই কিশোর একাদশ শ্রেণিতে পড়ত। পীযূষ সম্পর্কে শরণের ভাইয়ের নাতি। তাকে খুনের পর দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে দেহাংশগুলি বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেন ওই প্রৌঢ়।
পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (ডিসিপি) অভিষেক ভারতী সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, জেরায় পীযূষকে খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন শরণ। ডিসিপি জানিয়েছেন, শরণের এক ছেলে এবং এক মেয়ে ২০২৩ এবং ২০২৪ সালে আত্মহত্যা করেন। ওই ঘটনার পর থেকেই ভেঙে পড়েছিলেন শরণ। সম্প্রতি ছেলেমেয়ের মৃত্যুর কারণ জানতে এক ওঝার দ্বারস্থ হন প্রৌঢ়। ওঝা তাঁকে বলেন, আদতে মৃত্যু হওয়ার কথা ছিল পীযূষের। কিন্তু কিশোরের পরিবর্তে শরণের নিজের সন্তানেরা মারা গিয়েছেন। এর পর ওঝাই শরণকে পরামর্শ দেন পীযূষকে খুন করার।
আরও পড়ুন:
পিটিআই সূত্রে খবর, মঙ্গলবার স্কুলে যাওয়ার জন্য বেরিয়েছিল পীযূষ। তার পর থেকে তার আর খোঁজ মেলেনি। পরে নৈনি এলাকার একটি নর্দমায় পীযূষের মুণ্ডহীন দেহ মেলে। বুধবার কারেলির সৈয়দপুর কাছার এলাকা থেকে উদ্ধার হয় মাথাটিও। এর পরেই তদন্তে নেমে শরণকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ওঝা ফেরার। তাঁরও খোঁজ চলছে।