কারও মাধ্যমে নয়, একে অপরের সঙ্গে সরাসরি কথা বলুক ভারত ও পাকিস্তান। এমনটাই চায় আমেরিকা। বললেন মার্কিন বিদেশসচিব মার্কো রুবিয়ো।
কাশ্মীর-ইস্যুতে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে চেয়ে প্রস্তাব দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আমেরিকা শনিবার এ-ও দাবি করে যে, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়েছে তাদেরই মধ্যস্থতায়। ভারত যদিও এই নিয়ে কোনও কথা বলেনি। কাশ্মীর ইস্যু নিয়েও তাদের পুরনো অবস্থানই স্পষ্ট করে দেয়। এর পরেই মার্কিন বিদেশসচিব মার্কো রুবিয়ো জানালেন, ভারত এবং পাকিস্তান সরাসরি নিজেদের মধ্যে কথা বলুক। এ বিষয়ে আমেরিকা যে বার বার সহায়ক হয়েছে, তা-ও দাবি করেছেন তিনি।
আমেরিকার বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস জানিয়েছেন, রবিবার ব্রিটেনের বিদেশসচিব ডেভিড ল্যামির সঙ্গে কথা বলেন রুবিয়ো। সেখানে ভারত-পাকিস্তান বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্রুস। তিনি আরও জানান, এই দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যম সবসময় খোলা রাখা এবং যুদ্ধবিরতি বহাল রাখার বিষয়েও জোর দিয়েছেন রুবিয়ো এবং ল্যামি। রুবিয়ো জানিয়েছেন, ভারত এবং পাকিস্তান নিজেদের মধ্যে সরাসরি কথা বলুক, দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যম সব সময় খোলা রাখা হোক। তিনি এ-ও জানিয়েছেন, দুই প্রতিবেশী দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করতে সবসময় সহায়ক আমেরিকা।
শনিবার ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গেও কথা বলেন রুবিয়ো। এর পরেই জয়শঙ্কর বলেছিলেন, ‘‘মার্কিন বিদেশসচিব মার্কো রুবিয়োর সঙ্গে কথা হয়েছে। ভারতের পদক্ষেপ সর্বদাই নিয়ন্ত্রিত এবং দায়িত্বশীল। তা-ই থাকবে।’’ এর পরে ভারত যুদ্ধবিরতির কথা ঘোষণা করে। রবিবার ট্রাম্প নিজের তৈরি সমাজমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ দাবি করেন, ‘‘আমি আপনাদের দু’জনের সঙ্গেই কথা বলতে চাই, দেখতে চাই যে ১০০০ বছর পরে কাশ্মীর নিয়ে সুরাহা হয় কি না। ভারত এবং পাকিস্তানকে ঈশ্বর আশীর্বাদ করুন।’’ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ আমেরিকার এই প্রস্তাবকে আহ্বান জানালেও ভারত নিজের পুরনো অবস্থানেই স্থির থেকেছে। নয়াদিল্লির একটি সূত্র জানিয়েছে, বিষয় একটাই, পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতের হাতে তুলে দিতে হবে। এই বিষয়ে কারও মধ্যস্থতার প্রয়োজন নেই। ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতা করা নিয়ে ট্রাম্প যে দাবি করেছেন, তা নিয়েও মুখ খোলেনি ভারত। এ বার রুবিয়ো জানালেন, ভারত এবং পাকিস্তানের সরাসরি কথা জারি রাখা উচিত।