Advertisement
E-Paper

প্রশাসনিক দুর্নীতি নিয়ে খবর করে ‘হেনস্থার শিকার’! উত্তরপ্রদেশে আত্মহত্যার চেষ্টা সাংবাদিক এবং তাঁর স্ত্রীর

সাংবাদিকের অভিযোগ, খবর প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে ক্রমাগত হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। শুধু তা-ই নয়, তাঁদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেছেন সাংবাদিক।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০২৫ ১৪:০৬
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

উত্তরপ্রদেশের পীলীভীতের বরখেড়া নগর পঞ্চায়েতের দুর্নীতি নিয়ে খবর করেছিলেন। তার জেরে ক্রমাগত হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছিল বলে অভিযোগ। স্থানীয় প্রশাসন এবং প্রশাসনিক আধিকারিকদের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন এক সাংবাদিক এবং তাঁর স্ত্রী। তাঁদের দু’জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সাংবাদিকের অবস্থা স্থিতিশীল বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। তবে তাঁর স্ত্রীর অবস্থা সঙ্কটজনক।

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি বৃহস্পতিবারের। ওই সাংবাদিক এবং তাঁর স্ত্রী একটি ভিডিয়ো করেন। সেই ভিডিয়োতে বরখেড়া নগর পঞ্চায়েতের চেয়ারম্যান শ্যামবিহারী ভোজওয়াল, ঠিকাদার মইন হোসেন এবং বিলাসপুরের মহকুমাশাসক নগেন্দ্র পাণ্ডের নাম উল্লেখ করে তাঁদের বিরুদ্ধে ক্রমাগত হেনস্থা করার অভিযোগ তুলেছেন। সাংবাদিক ইসরারের অভিযোগ, সম্প্রতি বরখেড়া নগর পঞ্চায়েতের দুর্নীতি নিয়ে একটি খবর করেছিলেন তিনি। ওই নগর পঞ্চয়েতে কী ভাবে দুর্নীতি হচ্ছে এবং কারা কারা এই দুর্নীতিতে জড়িয়ে সেই খবর ফাঁস করে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেন। (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)

সাংবাদিকের অভিযোগ, খবর প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে ক্রমাগত হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। শুধু তা-ই নয়, তাঁদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেছেন সাংবাদিক। ঘটনাটি নিয়ে শোরগোল পড়তেই মহকুমাশাসক পাণ্ডে পাল্টা দাবি করেন, এই ধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন। পাশাপাশি তিনি জানান, ঠিক কী ঘটেছে তা খতিয়ে দেখার জন্য বারখেড়া থানার স্টেশন হাউস অফিসারকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিলাসপুরের সার্কল অফিসার প্রতীক দাহিয়া সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

অন্য দিকে, নগর পঞ্চায়েতের চেয়ারম্যান ভোজওয়াল তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সংবাদমাধ্যমে তিনি দাবি করেন, ‘‘এই ঘটনা সম্পর্কে শুনলাম। কিন্তু এই ঘটনার সঙ্গে আমার কোনও যোগ নেই। ঠিকাদারের সঙ্গে হয়তো কোনও সমস্যা চলছিল সাংবাদিকের। তার জেরেই এই ঘটনা।’’ ঠিকাদার হুসেন আবার সাংবাদিককেই অভিযোগের কাঠগড়ায় তুলেছেন। তাঁর দাবি, গত ১৮ মে তাঁর একটি নির্মাণস্থলে যান সাংবাদিক। সেখানে গিয়ে ১৫ হাজার টাকা দাবি করেন। না দিলে মিথ্যা খবর ছড়িয়ে দেবেন বলে হুমকি দেন।

journalist Uttar Pradesh
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy