Advertisement
E-Paper

মদ্যপ ছেলেকে শ্বাসরোধ করে খুন করল মা!

প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হয়েছিল যে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে অভিজিতের। শ্মশানের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল অভিজিতের মৃতদেহ। কিন্তু সে সময়েই পাড়াপড়শি এবং আত্মীয়দের কথা শুনে সন্দেহ হয় পুলিশের। তার পরেই লখনউয়ের সিনিয়র পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট কলানিধি নৈথানি ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন। আর ময়নাতদন্তের পরেই পরিষ্কার হয়ে যায় যে, শ্বাসরোধ করেই খুন করা হয়েছে তাঁকে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০১৮ ২০:২৬
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

ছেলেকে খুন করে বেশ গল্প ফেঁদেছিলেন মা। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হল না। দেহ শ্মশানে রওনা দেওয়ার কিছু আগে সন্দেহ হয় পুলিশের। ময়নাতদন্তেই সবটা পরিষ্কার হয়ে যায়। এ মৃত্যু স্বাভাবিক নয়, ছেলেকে নিজের হাতেই শ্বাসরোধ করে খুন করেছেন মা! শনিবার গভীর রাতে উত্তরপ্রদেশের দারুলশাফার ঘটনা। খুনের দায়ে অভিযুক্ত মা আদপে উত্তরপ্রদেশ দারুলশাফা বিধান পরিষদের চেয়ারম্যান রমেশ যাদবের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী মীরা যাদব। তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

দারুলশাফা বিধান পরিষদের চেয়ারম্যান রমেশ যাদবের ছেলের নাম অভিজিৎ যাদব (২৩)।দারুলশাফায় রমেশ যাদবের ফ্ল্যাট থেকেই উদ্ধার করা হয় তাঁর ছেলে অভিজিতের মৃতদেহ।

প্রথমে অবশ্য গল্পটা বেশ ফেঁদেছিলেন মীরাদেবী। পরিবার এবং প্রতিবেশীদের জানিয়েছিলেন, মদ্যপ অবস্থায় বহু রাত করে বাড়ি ফিরেছিল ছেলে। বুকের ব্যথায় সারা রাত ছটফট করছিল বিছানায়। তাঁকে সে কথা জানাতেই তিনি ছেলের বুকে আরামদায়ক মলম লাগিয়ে দেন। কিন্তু তার পর দিন সকালে আর ঘুম থেকে ওঠেনি ছেলে। সকলে বিশ্বাসও করে নিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন: পুত্র সন্তানের আশায় তান্ত্রিকের কাছে গিয়ে বিহারে গণধর্ষিতা মহিলা

প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হয়েছিল যে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে অভিজিতের। শ্মশানের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল অভিজিতের মৃতদেহ। কিন্তু সে সময়েই পাড়াপড়শি এবং আত্মীয়দের কথা শুনে সন্দেহ হয় পুলিশের। তার পরেই লখনউয়ের সিনিয়র পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট কলানিধি নৈথানি ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন। আর ময়নাতদন্তের পরেই পরিষ্কার হয়ে যায় যে, শ্বাসরোধ করেই খুন করা হয়েছে তাঁকে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে যে, জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে বার বারই পুলিশের সামনে নিজের বয়ান পাল্টাচ্ছিলেন রমেশ যাদবের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী মীরা যাদব। আর তার পরেই মীরা দেবীর দিকে পুলিশের সন্দেহ আরও গভীর হয়।

আরও পড়ুন: জাহাজের বিপজ্জনক অংশে সেলফি তুলে ক্ষমা চাইলেন মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী

আর এক পুলিশ অফিসার সর্বেশ মিশ্রের কথায়, ‘‘অভিজিত মদ্যপ অবস্থায় মায়ের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছিলেন। আর তখনই ক্ষিপ্ত হয়ে ছেলেকে শ্বাসরোধ করে খুন করে মীরা দেবী।’’

Murder Uttar Pradesh Legislative Council Strangulation
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy