Advertisement
E-Paper

বিয়েতে নারাজ নাবালিকা মেয়েকে ছুরি দিয়ে কোপালেন বাবা!

পুলিশের কাছে তার অভিযোগ, বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় বাবা ও দাদা মিলে তাকে খুন করতে চেয়েছিলেন।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০১৯ ১০:৫২
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

বিয়ে নয়, পড়াশোনা করতে চেয়েছিল সে। তবে তাতে সায় ছিল না বাবার। অভিযোগ, সে কারণে নিজের ছেলের সঙ্গে মিলে তাই তাকে খুনের পরিকল্পনা করেন ওই ব্যক্তি। এর পর পরিকল্পনা মতো কিশোরীকে নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ছুরি দিয়ে বার বার আঘাত করে ফেলে দেওয়া হয় খালের জলে। তবে কোনও রকমে বেঁচে যায় সে। শনিবার দাদা ও বাবার বিরুদ্ধে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছে উত্তরপ্রদেশের এক কিশোরী। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

উত্তরপ্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে, বছর পনেরোর ওই কিশোরী শাহজাহানপুর জেলার বাসিন্দা। পুলিশের কাছে তার অভিযোগ, বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় বাবা ও দাদা মিলে তাকে খুন করতে চেয়েছিলেন। তার কথায়, “বাবা আমাকে খালের ধারে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়েছিল। কিছু ক্ষণ পর সেখানে দাদা আসে। ও আমার গলায় একটা কাপড়ের ফাঁস লাগিয়ে দেয়। এর পর আমাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করতে থাকে বাবা। ওদের থামতে বলেছিলাম। কিন্তু ওরা থামেনি। একটু জল চাইলে তা-ও দেয়নি।” ওই কিশোরীর আরও অভিযোগ, তাকে মৃত মনে করে খালের জলে ফেলে দেয় তার দাদা। সাঁতার কেটে খাল পেরিয়ে কোনও রকমে প্রাণে বাঁচে সে।

ওই কিশোরীর অভিযোগ সত্যি বলে দাবি করেছেন তার জামাইবাবু। তিনি বলেন, “মাস দুয়েক ধরেই আমাদের বাড়িতে থাকছিল মেয়েটি। ওর মা-বাবা চেয়েছিল, মেয়েটির বিয়ে করে দিতে। দিন দু’য়েক আগেই আমাদের বাড়ি থেকে মেয়েটিকে নিয়ে যান তাঁরা। এর পর ফোনে খবর পাই, মেয়েটিকে খালের ধারে পাওয়া গিয়েছে।”

আরও পড়ুন: অবস্থানে অনড় থেকে রফাসূত্রের খোঁজ, আলোচনা রাজ্যপালের দ্বারস্থ হওয়া নিয়েও

শাহজাহানপুরের এএসপি দীনেশ ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, এই অভিযোগের তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত কোনও গ্রেফতারি না হলেও তিনি বলেন, ‘‘কিশোরীর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রমাণ মিললে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদেরYouTube Channel - এ।

Crime Shahjahanpur Uttar Pradesh
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy