প্রতীকী ছবি।
মুম্বই থেকে স্বামী ফোনে তিন তালাক দিয়েছিল। স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে থানায় গিয়েছিলেন স্ত্রী। সেই ‘অপরাধে’ পাঁচ বছরের মেয়ের সামনে স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারল স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের শ্রাবস্তীতে।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত বধূর নাম সাইদা (২২)। তাঁর বাবা রমজান আলি খানের অভিযোগ, সাইদার স্বামী নাফিস কর্মসূত্রে মুম্বই থাকতেন। গত ৬ অগস্ট সে ফোনে তিন তালাক দিয়েছিল। ওই দিনই সাইদা থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু কোনও অভিযোগ না নিয়ে বিষয়টি প্রাথমিক ভাবে মিটমাটের চেষ্টা করে পুলিশ এবং সাইদাকে শ্বশুরবাড়িতে ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। ১৫ অগস্ট গ্রামে ফেরে নাফিস। রমজান বলেন, ‘‘প্রায়শই সাইদাকে মারধর করত নাফিস। কিন্তু আমি কিছু বলিনি। এ বার তিন তালাক দিয়েছিল। কিন্তু আর এক বার সুযোগ দেওয়ার জন্য নাফিস অনুরোধ করায় পুলিশ বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করে।’’
গত সপ্তাহে পুলিশ দম্পতিকে ডেকে পাঠায়। কিন্তু নাফিসের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ না করে, দু’জনকে একসঙ্গে থাকতে বলে।
নিহতের পরিবার সূত্রের খবর, থানায় কেন অভিযোগ জানানো হয়েছে তা নিয়ে পরের দিন নাফিসের সঙ্গে সাইদার প্রবল ঝগড়া হয়। ওই বাদানুবাদ চরমে পৌঁছলে সাইদার গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। সেই সময় তাঁর মেয়ে হাজির ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, সে-ই এক মাত্র প্রত্যক্ষদর্শী। মেয়েটি তার বয়ানে বলেছে, ‘‘মায়ের চুলের মুঠি ধরেছিল বাবা। দুই পিসি মায়ের গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে দেয়। দাদু-ঠাকুমা গায়ে আগুন লাগিয়েছে।’’
নাফিস ও পরিবারের লোকজন পলাতক। পণ নেওয়া এবং খুনের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, আট জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। গত জুলাইয়ে সংসদে পাশ হয়েছে তাৎক্ষণিক তিন তালাক বিরোধী আইন। ওই আইনে বলা হয়েছে, লিখিত বা ফোনে তালাক দিলে তা বেআইনি হিসেবে বিবেচিত হবে। দোষী ব্যক্তির সাজা তিন বছরের কারাদণ্ড। সাইদা অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও কেন স্থানীয় থানা ব্যবস্থা নিল না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সিনিয়র পুলিশ অফিসার বি এস দুবে জানিয়েছে, এ বিষয়ে তদন্ত হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy