বসুন্ধরা রাজে। —ফাইল চিত্র।
রাজস্থানে মুখ্যমন্ত্রিত্ব ঘিরে বিজেপির অন্দরে তুমুল জল্পনার মধ্যেই বুধবার রাতে দিল্লি পৌঁছলেন সে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সদ্য নির্বাচিত বিধায়ক বসুন্ধরা রাজে। দলের একটি সূত্রের খবর, দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বার্তা পেয়েই দিল্লি পৌঁছেছেন তিনি। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী বাছতে বৃহস্পতিবার বিজেপির শীর্ষনেতৃত্ব বৃহস্পতিবার দিল্লিতে বৈঠকে বসছেন। তার আগে বসুন্ধরার এই আগমন ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে রাজনীতির কারবারিদের একাংশ মনে করছেন।
২০০ আসনের রাজস্থান বিধানসভা এ বার বিজেপি ১১৫টিতে জিতে নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পেয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের ঝুলিতে গিয়েছে ৬৯টি। নির্দল এবং অন্য দলগুলির প্রার্থীরা জিতেছেন ১৫টি আসনে। ওই রাজ্যে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজের পাশাপাশি বিধানসভা ভোটে সদ্যজয়ী তিন সাংসদ মহন্ত বালকনাথ, দীয়া কুমারি এবং রাজ্যবর্ধন রাঠৌরের নাম আলোচনায় রয়েছে বলে দলের একটি সূত্রের খবর। এ ছাড়া বিজেপির প্রাক্তন দুই রাজ্য সভাপতি, ওপি মাথুর ও সতীশ পুনিয়ার নাম রয়েছে জল্পনার তালিকায়। তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী— গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত, অশ্বিনী বৈষ্ণব, অর্জুনরাম মেঘওয়ালের পাশাপাশি লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার নাম ঘিরেও চলছে জল্পনা।
দু’বারের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা এ বার তাঁর পুরনো কেন্দ্র ঝালারাপাটনে জিতলেও নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহদের ‘সুনজরে’ না থাকায় তাঁর পক্ষে মুখ্যমন্ত্রী হওয়া কঠিন বলে দলের একটি অংশ মনে করছে। এই পরিস্থিতিতে ঢোলপুরের মহারানির ‘রণকৌশল’ নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে দলের অন্দরে। সেই জল্পনা উস্কে গত সোমবার জয়পুরের নিজের সরকারি নিবাস ১৩ নম্বর সিভিল লাইন্সে বিজেপির ২০ জন বিধায়ককে নিয়ে বৈঠক করেছিলেন বসুন্ধরা।
সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে গোপীচাঁদ মীনা, শঙ্কর সিংহ রাওয়তের মতো হেভিওয়েট বিজেপি বিধায়কেরা হাজির ছিলেন। বৈঠকে হাজির দুই প্রভাবশালী সদ্য নির্বাচিত বিধায়ক বাহাদুর সিংহ এবং সুরেশ রাওয়ত প্রস্তাব দেন, বসুন্ধরাকে মুখ্যমন্ত্রী করার দাবিতে তাঁরা বিজেপি শীর্ষনেতৃত্বের দ্বারস্থ হবেন। সেই প্রস্তাব সর্বসম্মত ভাবে গৃহীত হয়। বসুন্ধরার ওই পদক্ষেপকে ‘বিদ্রোহের সূচনা’ বলেও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ চিহ্নিত করেছিলেন। বুধের রাতে বসুন্ধরার দিল্লি সফরে সেই জল্পনার মোড় ঘুরল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy