নায়ডুর মতে, এই সমস্যার সমাধানে রাজ্য ও জেলা স্তরে কঠোর ভাবে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে
গো-রক্ষার নামে পিটিয়ে খুন, আইন হাতে নেওয়া বরদাস্ত করা হবে না, গত কাল ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নায়ডু আজ একই সুরেই দাবি করলেন, গোরক্ষার নামে পিটিয়ে মারা অত্যন্ত বর্বরোচিত কাজ। বেঙ্কাইয়া বলেন, ‘‘এই ধরনের ঘটনার কোনও ধর্মীয় ভিত্তি থাকে না। তাই এই সবের মধ্যে কোনও ধর্মীয় অনুষঙ্গ খোঁজা উচিত নয়।’’ আইন-শৃঙ্খলার প্রশ্ন তো আছেই, তার চেয়েও গুরুতর দিকটি হচ্ছে, এই জাতীয় হিংসার শিকার হচ্ছেন দলিত বা সংখ্যালঘুরা। বিভিন্ন মুসলিম সংগঠন থেকে বিশিষ্ট জনেরা রোজই এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। এই পরিপ্রেক্ষিতেই নায়ডু সংখ্যালঘুদের নিশানা করার বিষয়টি খণ্ডন করতে চাইলেন। নায়ডুর মতে, এই সমস্যার সমাধানে রাজ্য ও জেলা স্তরে কঠোর ভাবে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। গত কাল অবশ্য আসগার আলিকে পিটিয়ে মারা হয় বিজেপি শাসিত রাজ্যে ঝাড়খণ্ডে।
গো-রক্ষার নামে গণ-পিটুনির প্রতিবাদে কলকাতা, হায়দরাবাদ, দিল্লি, বেঙ্গালুরু-সহ দেশের বিভিন্ন শহরের বুধবার নাগরিক সমাবেশ হয়, ‘আমার নামে নয়’ এই স্লোগান তুলে ধরে। এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য জমিরুদ্দিন শাহ আজ বলেন, ‘‘শুভবুদ্ধিসম্পন্নরা যেন প্রতিবাদ চালিয়ে যান। পরিস্থিতি তাতে হাতের বাইরে চলে যেতে পারবে না।’’ প্রাক্তন এই সেনা অফিসারের মতে, ‘‘জুনেইদের (হরিয়ানার বল্লভগড়ে গোরক্ষকদের হাতে নিহত ১৬ বছরের কিশোর) ঘটনা দেখিয়ে দিয়েছে, প্রশাসন কড়া না হলে কী ভাবে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy