ব্যাজার লালমুখো না কি গেরুয়া রঙের গোমড়া! কিংবা সবুজ থেকে ঘন সবুজে চওড়া হচ্ছে হাসিটি।
কেমন কাজ করছেন নরেন্দ্র মোদী? জানান সরাসরি তাঁকেই।
একের পর এক উপনির্বাচনে হার। কর্নাটকে বড় দল হয়েও অধরা সরকার। এমন চললে তো শিরে সংক্রান্তি। ভরসা পেতে ভোটের আগেই তাই আমজনতার ভোট নিচ্ছেন মোদী।
‘নমো অ্যাপ’ দিয়ে দেশবাসীর কাছে প্রধানমন্ত্রী জানতে চাইছেন, ‘‘বলুন, কেমন কাজ করছে কেন্দ্রের সরকার?’’ সস্তায় ঘর দিয়েছে সরকার? চাকরি? গ্রামে বিদ্যুৎ? কৃষকের উন্নতি?
দুর্নীতি দমন? রাস্তা? গরিবের মান বৃদ্ধি? নিরাপত্তা? অর্থনীতি? সরকারের কাজের গতি বাড়ল কি? আশা দেখতে পাচ্ছেন? ভোট দেবেন কী দেখে? ২০১৯ সালের আগে জনতার মন এ ভাবেই মাপতে চাইছেন মোদী।
বিজেপির এক নেতার বক্তব্য, গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় প্রতি ভোটে এক-তৃতীয়াংশ বিধায়ক বদলাতেন মোদী। এ বারেও হয়তো তা-ই করবেন। বিভিন্ন সংস্থা এমনিতেই দলের হয়ে সমীক্ষা করে। এ বারে অ্যাপ দিয়ে সরাসরি জনতার রায় নিয়ে তাদের মন বুঝতে চাইছেন মোদী। ক্ষমতায় আসার পরে যত উপনির্বাচন হয়েছে, তাতে জয়ের থেকে হারের মুখই বেশি দেখতে হয়েছে। স্পষ্ট বুঝছেন, মোদী-ঝড় উধাও। তাই ‘নমো অ্যাপ’-এ একেবারে সরাসরি জানতে চাওয়া হচ্ছে, ‘আপনার কেন্দ্রে সাংসদের নাম বলুন। তিন কি ধরাছোঁয়ার মধ্যে? কাজ করেছেন? অন্য তিন জন জনপ্রিয় বিজেপি নেতার নাম বলুন। প্রধানমন্ত্রীকে কিছু জানাতে চান? সেটিও লিখুন।’ এর সঙ্গেই আরও দুটি প্রশ্ন— ‘আপনি কি রেডিওয় ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান শোনেন?’ আপনি কি ‘২০১৯ সালের ভোটে বিজেপির হয়ে প্রচারে আগ্রহী?’
বিজেপি বলছে, এক ঢিলে অনেক পাখি মারা যাবে এই সমীক্ষায়। কত জন সাংসদ জমিতে ঠিক মতো কাজ করছেন, তার আঁচ মিলবে। কত জন বিজেপির সঙ্গে থাকতে চান, তারও সমীক্ষা হবে। পাশাপাশি মোদীর কাজের মূল্যায়নও হবে।
মুচকি হাসছে কংগ্রেস। দলের এক নেতার কথায়, ‘‘ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রী জিজ্ঞাসা করছেন, আগের থেকে আশা বেড়েছে? তিনি তো ‘অচ্ছে দিন’ আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন। এখন সে কথা আর মুখে আনছেন না। শুধু ভাঁওতা। জনতা সেটি ঠারে ঠারে টের পেয়েছে। মোদীর ‘নকল’ ভোটের থেকে ‘আসল’ ভোটেই সব মালুম হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy