দেশে পর্যাপ্ত চিকিৎসকের অভাব মেটাতে বিদেশে পড়তে যাওয়া চিকিৎসকদের দেশে ফেরার আহ্বান জানালেন উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডু। আজ অ্যাপোলো প্রোটন ক্যানসার সেন্টারে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম প্রোটন কেন্দ্রের দ্বারোদ্ঘাটন অনুষ্ঠানে তিনি মেনে নেন, যে দেশে নার্সের অভাবও যথেষ্ট। দর্শকাসনে বসা ৯১ বছর বয়সি ক্যানসার চিকিৎসক ভি শান্তার উদাহরণ দিয়ে উপরাষ্ট্রপতি বলেন, “আজও উনি গ্রামে গিয়ে রোগী দেখেন। সকলের অনুপ্রাণিত হওয়া উচিত।”
উদ্বোধনী ভাষণে ওই হাসপাতাল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রভাত সি রেড্ডির স্মৃতিচারণ, “অর্থের অভাবে বিদেশে চিকিৎসা করতে যেতে না পারায় কাছের এক জনকে মারা যেতে দেখেছিলাম। এর পরেই অ্যাপোলো হাসপাতাল তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিই।” তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী কে পালানিস্বামী এবং উপমুখ্যমন্ত্রী ও পনীরসেলভাম এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান।
স্বাস্থ্যপরিষেবায় বেসরকারি ক্ষেত্রকে আরও বেশি শামিল হওয়ার আহ্বান জানান উপ রাষ্ট্রপতিও। পরিষেবার খরচ সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যে আনার কথাও বলেন। মাঝেমধ্যেই ছন্দ মিলিয়ে করা বক্তৃতায় যোগব্যায়ামের প্রয়োজনীয়তায় গুরুত্ব দেন তিনি। এ-ও বলেন, ‘‘পাশ্চাত্যের খাবার ছেড়ে আঞ্চলিক খাদ্যের উপরে নির্ভরশীলতা বাড়ানো উচিত।’’
এ দিন শুরু হয় সাত জন ক্যানসার রোগীকে প্রোটন থেরাপি দেওয়ার প্রক্রিয়া। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, থেরাপি দেওয়ার আগে রোগীকে বিভিন্ন ভাবে প্রস্তুত
করার যে প্রক্রিয়া চলে, সে জন্য সেন্টারে থাকছে সি ভি রমন, রামানুজন, এ পি জে আব্দুল কালামের নামে তিনটি ঘর। রমনের নামাঙ্কিত ঘরটি পরিষেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। আগামী সাত-আট মাসের মধ্যে বাকি দু’টি চালু হয়ে যাবে। তখন আরও বেশি রোগীকে প্রোটন থেরাপি দেওয়া যাবে বলে জানাচ্ছেন সেন্টার কর্তৃপক্ষ।
আপাতত সোম থেকে শুক্রবার, দিনে আট ঘণ্টা চালু থাকবে যন্ত্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy