ধর্ষণকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত স্বঘোষিত গুরু আসারাম বাপুর জামিন খারিজ করা হোক! এ বার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন ধর্ষিতা। তাঁর আইনজীবীর যুক্তি, আসারাম মোটেই গুরুতর অসুস্থ নন। তিনি সারা ভারত ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাই তাঁর জামিন বাতিল করুক শীর্ষ আদালত।
সোমবার নির্যাতিতার আইনজীবী আলজো জোসেফ সুপ্রিম কোর্টে জানান, অগস্টে হাই কোর্টের নির্দেশে একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়। সেই বোর্ড আসারামের শারীরিক পরীক্ষা করে। বোর্ড জানায়, তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন নেই। জোসেফ আরও জানান, চিকিৎসার কারণে আসারামকে জামিন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু জামিন পাওয়ার পর থেকেই তিনি অহমদাবাদ, জোধপুর, ইনদওর-সহ ভারতের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আসারাম কখনই কোনও হাসপাতালে দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা করাননি। তিনি কোনও অসুস্থায় ভুগছেন না।
জোধপুরের আশ্রমে ২০১৩ সালে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে আসারামকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। ২০১৮ সালে তাঁর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। পরে গান্ধীনগরের আশ্রমে অপর নির্যাতিতাকে একাধিক বার যৌন হেনস্থার অভিযোগেও দোষী সাব্যস্ত করা হয় আসারামকে। ওই মামলায় ২০২৩ সালে তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত।
আরও পড়ুন:
চলতি বছরের অক্টোবরে ধর্ষণের এক মামলায় ছ’মাসের জন্য আসারামকে জামিনের নির্দেশ দেয় রাজস্থান হাই কোর্ট। তবে অপর এক মামলা সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় জেলমুক্তি হয়নি তাঁর। নভেম্বরে গুজরাত হাই কোর্ট ওই মামলায় ছ’মাসের জামিন মঞ্জুর করে আসারামের। তার পরেই জেল থেকে বার হন। চিকিৎসার কারণেই তাঁর জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে বলে জানিয়েছিল আদালত। আসারামের আইনজীবীর যুক্তি ছিল, তাঁর মক্কেল নানা ধরনের শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। কারাগারের হাসপাতালে তাঁর যথাযথ চিকিৎসা সম্ভব নয়। তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে জামিন মঞ্জুর করা হোক। সেই আবেদন মঞ্জুর হয়। তবে এ বার সেই জামিনের বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হলেন নির্যাতিতা।