প্রতীকী চিত্র। ছবি :এএফপি।
বন্যা কবলিত কর্নাটকের এক নদীতে ঝাঁপ দিয়েও জীবিত ফিরে এলেন ৬০ বছরের এক বৃদ্ধ। ঝাঁপ দেওয়ার পর সকলে ভেবেছিলেন তিনি আর বেঁচে নেই। কিন্তু দু’দিন পর বাড়ি ফিরলেন।
ভেঙ্কটেশ মূর্তি (৬০) শনিবার সকালে ভরা কপিলা নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। আত্মহত্যা নয়, উত্তাল কপিলা নদীকে চ্যালেঞ্জ জানানোই ছিল তাঁর উদ্দেশ্য। যেমন ভাবা তেমন কাজ। কিন্তু ঝাঁপ দেওয়ার পর থেকে তাঁর আর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান তাঁর বাড়ির লোকেরা। প্রায় সকলেই ধরেই নিয়েছিলেন ভেঙ্কটেশের মৃত্যু হয়েছে জলে ডুবে। কিন্তু দু’দিন পর সোমবার তিনি ফিরে আসেন। স্থানীয় থানা নানজানগুড়ের তরফে সংবাদ সংস্থাকে জানানো হয়েছে, ওই বৃদ্ধ নদীতে ঝাঁপ দিয়ে দু’দিন পর জীবিত অবস্থায় ফিরে এসেছেন।
সকলকে অবাক করে দিয়ে ভেঙ্কটেশের বোন মঞ্জুলা জানিয়েছেন, এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। তাঁর ভাই এই কাজ গত ২৫-৩০ বছর ধরে করছেন। ভরা নদীতে বার বার ঝাঁপ দিয়ে সে ফিরে এসেছে। যদিও এবার মঞ্জুলাও কিছুটা চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন। কারণ কোনও বারেই আধ ঘণ্টার বেশি সময় লাগেনি ভেঙ্কটেশের। আর এবার ২ দিন ধরে ভাইয়ের কোনও খোঁজ ছিল না।
আরও পড়ুন : দেহে সাড় নেই, তবু দেড় বছরের ছেলের হাত ছাড়েননি গীতা
আরও পড়ুন : জানেন এখনও পর্যন্ত পর্নোগ্রাফি থেকে কত টাকা আয় করেছেন মিয়া খালিফা?
এবার ভরা নদীতেঝাঁপ দেওয়ার পর হেজিগে ব্রিজে তিনি আটকে গিয়েছিলেন। সেখানেই দু’দিন প্রায় বন্দী অবস্থায় ছিলেন। তারপর কোনও রকমে সেখান থেকে বেরিয়ে এসেছেন। এই ব্রিজ থেকেই তিনি ঝাঁপ দিয়েছিলেন। তাঁকে ঝাঁপ দিতে দেখে উপস্থিত সবাই উদ্ধার করার জন্য দড়ি ফেলে। কিন্তু কিছুক্ষণ পর আর দেখা যায় নি ভেঙ্কটেশকে।
ভেঙ্কটেশ জানান, তিনি সাধারণত সেতুর মাঝামাঝি ঝাঁপ দেন। কিন্তু এবার স্রোত এত বেশি ছিল তিনি কোনও স্তম্ভ ধরতে পারেননি। সেতুতে আটকে থাকা আগাছায় জড়িয়ে যান তিনি। সেখান থেকে কোনও রকমে বেরিয়ে এসে সেতুতেই একটু উপরে উঠে বসে থাকেন দু’দিন। বন্যার জল কিছুটা নামতে উদ্ধার পান ভেঙ্কটেশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy