সম্প্রতি এই ভিডিয়োই ভাইরাল হয়েছে। ছবি সৌজন্য টুইটার।
ফুলেফেঁপে ওঠা একটি নদীতে এক কিশোরকে এক বার ডুবতে, এক বার ভাসতে দেখা যাচ্ছে। ঢেউয়ের সঙ্গে লড়াই করতে করতে বাঁচার জন্য পরিত্রাহি চিৎকার করছে। তার পরই নৌকা করে কয়েক জন এসে তাঁর হাত ধরে খরস্রোতা নদী থেকে টেনে তোলেন। সম্প্রতি এমনই একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে।
ভিডিয়োতে যে নদী দেখা গিয়েছে, সেটিকে চম্বল বলে দাবি করা হয়েছিল। কিশোরকে যাঁরা উদ্ধার করেছেন, তাঁদের রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্য বলে দাবি করা হয়েছিল। এমনকি, কিশোরের কয়েক হাত দূরে কালো রঙা যে কয়েকটি জিনিস ভাসতে দেখা যাচ্ছিল সেগুলিকে কুমির বলেও দাবি করা হয়। যে হেতু চম্বল নদীতে কুমির রয়েছে, তাই নদীটিকে চম্বল বলেই দাবি করা হয়। কিন্তু আদতে এই ভিডিয়োটি কোথাকার, সেই জায়গা সম্পর্কেও স্পষ্ট কিছু বলা ছিল না। ফলে জল্পনার বশেই সেটিকে চম্বল নদী বলা হলেও, কোন জায়গা তা উল্লেখ করা হয়নি।
This is real heroic deed. Chambal river, crocodiles and the fighter kid. Salute to the rescue team. #Chambal pic.twitter.com/MvNVLV5pVy
— Dr Bhageerath Choudhary IRS (@DrBhageerathIRS) August 24, 2022
ভিডিয়োটি নিয়ে যখন নেটমাধ্যমে শোরগোল চলছিল, আদতে ভিডিয়োটি কোথাকার তার সত্যতা যাচাইয়ে নামে ‘ইন্ডিয়া টুডে’। তাদের দাবি, ভিডিয়োটিতে যে নদীকে চম্বল বলে দাবি করা হয়েছে, সেটি চম্বল নয়। এবং ভিডিয়োটি সাম্প্রতিককালেরও নয়। ভিডিয়োটি ২০২১-এর জুনের। ফেসবুকে শেয়ার করা হয়েছিল। ভিডিয়োটি শেয়ারের পর জায়গার নাম লেখা হয়েছিল সিলেট, বাংলাদেশ। ওই বছরেরই অগস্টে ইউটিউবে এ রকমই একটি ভিডিয়ো আপলোড করা হয়েছিল।
ভিডিয়োর ক্যাপশনে জায়গাটির নাম লেখা হয়েছিল চাঁদপুর খাঁড়ি। পদ্মা এবং মেঘনা যেখানে বঙ্গোপসাগরে মিলছে। ২০২১-এর জুন এবং অগস্টের দু’টি ভিডিয়ো খতিয়ে দেখার পর দাবি করা হয়, দু’টি একই ঘটনার দৃশ্য। যে ভাবে লুঙ্গি পরা কয়েক জনকে ওই কিশোরকে উদ্ধার করতে দেখা গিয়েছিল, তাঁরা বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্য নন। শুধু তাই নয়, কিশোরের আশপাশে যে কালোরঙা বস্তুগুলি ভাসতে দেখা গিয়েছিল, সেগুলি কুমিরও নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy