ঘণ্টা ছয়েকের তাণ্ডব। আর তাতেই উথালপাথাল অন্ধ্রপ্রদেশের ছবির মতো সাজানো-গোছানো বন্দরশহর বিশাখাপত্তনম। ছড়িয়ে ছিটিয়ে উপড়ে পড়া গাছ, বিদ্যুৎখুঁটি, টেলিফোন টাওয়ার। বিদ্যুৎ সংযোগ নেই শনিবার থেকেই। অকেজো ইন্টারনেট ও টেলিফোন পরিষেবা। ঘরছাড়ার একটা বড় অংশ ঠাঁই পেয়েছে ত্রাণশিবিরে। আর যাঁরা রয়ে গিয়েছেন ঘরে, বাইরে ঝড়ের শব্দে কান চেপে ধরছেন। দু’দিন বন্ধ থাকার পর আজই খুলেছে। তবু হাহাকার প্রতিটি পেট্রোল পাম্পেই। জল নেই, খাবার নেই যথেষ্ট পরিমাণে। তবু স্বাভাবিক হতে চাইছে বন্দরশহর।
কালই ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশের সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়েছিল হুদহুদ। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (এনডিআরএফ) আধিকারিকদের দাবি, আগের চেহারা ফিরিয়ে দিতে ঢেলে সাজতে হবে বিশাখাপত্তনমকে। এনডিআরএফের ডিআইজি এ এস গুলেরিয়া আজ জানান, “বিশাখাপত্তনমের ৭০ থেকে ৮০% পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত।”
ধ্বংসের চেহারা বিশাখাপত্তনম বিমানবন্দরেও। ফাটল ধরেছে ছাদের বহু জায়গায়। আজ অবশ্য বৃষ্টি হয়নি। জোরকদমে চলছে উদ্ধার। বিজয়ওয়াড়া হাইওয়ে-সহ শহরের বেশিরভাগ রাস্তায় সাফাইয়ের কাজ চলেছে দিনভর। ত্রাণের কাজে পাঁচ আইএএস আফিসারকে নিয়ে গঠন করা হয়েছে কমিটি। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে উদ্ধারকাজ চলছে ওড়িশাতেও।
অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশা মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত মৃত ২৪। আজই আকাশপথে রাজ্যের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী দফতর সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সরেজমিনে পরিস্থিতি দেখতে আসবেন নরেন্দ্র মোদী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy