Advertisement
E-Paper

সাধুদের মধ্যেও ফাটল ধরাচ্ছেন! রাহুলকে তোপ বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

কুম্ভে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের উদ্যোগে ধর্ম সংসদের আগেই সাধুদের একাংশ একটি সমান্তরাল আয়োজন করেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:৩২
‘রোস্টার নীতি’র কারণে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে শিক্ষক নিয়োগে উচ্চবর্ণের আধিপত্য বাড়বে বলে সরব হলেন রাহুল গাঁধী। ছবি: পিটিআই।

‘রোস্টার নীতি’র কারণে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে শিক্ষক নিয়োগে উচ্চবর্ণের আধিপত্য বাড়বে বলে সরব হলেন রাহুল গাঁধী। ছবি: পিটিআই।

রামমন্দির নির্মাণের পথে রাহুল গাঁধী বাধা হচ্ছেন বলে এত দিন অভিযোগ করে আসছিল গেরুয়া শিবির। এ বার সাধুদের মধ্যে বিভাজন তৈরির পিছনেও রাহুলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।

কুম্ভে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের উদ্যোগে ধর্ম সংসদের আগেই সাধুদের একাংশ একটি সমান্তরাল আয়োজন করেন। শঙ্করাচার্য স্বামী স্বরূপানন্দ পৃথক ধর্ম সংসদ করে ঘোষণা করেন, ২১ ফেব্রুয়ারি কুম্ভ থেকে সাধুরা অযোধ্যায় শিলান্যাসের উদ্দেশে রওনা দেবেন। যাতে হিন্দু শিবিরেই বিভাজনের ছবিটি উঠে এসেছে। এমনকি, নরেন্দ্র মোদীকে স্বস্তি দিয়ে পরিষদের মঞ্চে যে ভাবে মন্দির নির্মাণ নিয়ে আন্দোলন ভোট পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাতেও ক্ষিপ্ত সাধুদের একাংশ। তবে মোদী রাজনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, মোদী রামমন্দির আইন করবেন না বুঝেই যুক্তি হিসেবে ভিএইচপি বলছে, ভোটের আচরণবিধি চালু হয়ে যাবে বলেই এই সিদ্ধান্ত।

এত বিরোধের মুখে পড়ে আজ দিল্লিতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা সুরেন্দ্র জৈন প্রশ্ন তোলেন, ‘‘সেই শিলান্যাসের প্রথম শিলাদান কে করেছেন? তাঁর সঙ্গে রাহুল গাঁধীর সম্পর্ক কী?’’ পরিষদের নেতাদের বক্তব্য, রবার্ট বঢরার অনুগামী জগদীশ শর্মা উপস্থিত ছিলেন স্বরূপানন্দের ধর্ম সংসদেই। তিনিই প্রথম শিলাদান করেন। এতে স্পষ্ট, রাহুল গাঁধী হিন্দু শিবিরেও ফাটল ধরানোর চেষ্টা করাচ্ছেন। যা শুনে হাসছেন কংগ্রেস নেতারা। আর ঘরোয়া মহলে বলছেন, মন্দিরে মন্দিরে গিয়ে হিন্দুত্বের তাস অনেকটাই মোদীর থেকে কেড়ে নিয়েছেন রাহুল। তার পর থেকেই আতঙ্ক আরও বেড়েছে প্রধানমন্ত্রীর। কিন্তু এত দিন তো বিজেপি আর সঙ্ঘের অভিযোগ ছিল, রাহুল মন্দিরে বাধা দিচ্ছেন! এখন উল্টো সুর কেন?

আজ এক সাক্ষাৎকারে রাহুল অবশ্য ফের জানান, রামমন্দির নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট যা অবস্থান নেবে, তা সকলে মানবে। কিন্তু বিশ্ব হিন্দু পরিষদের অসন্তোষ, নরেন্দ্র মোদীকে তাঁরা আইন বা অধ্যাদেশ আনার কথা বোঝাতে পারল না। তার উপর নির্মোহী আখড়া পরিষদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে আর্থিক নয়ছয়ের। আর সাধুরাও দ্বিধাবিভক্ত। সেখানেও কলকাঠি নাড়ছে কংগ্রেস।

VHP Rahul Gandhi Politics Congress
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy