দাদার মরদেহ নিয়ে গ্রামের বাড়ি পৌঁছলেন আমদাবাদ বিমান বিপর্যয়ে বেঁচে যাওয়া একমাত্র যাত্রী বিশ্বাসকুমার রমেশ।
আদতে দমন ও দিউ-য়ের বাসিন্দা বিশ্বাসকুমার এবং তাঁর দাদা অজয়কুমার এয়ার ইন্ডিয়ার ড্রিমলাইনারে লন্ডনে যাচ্ছিলেন। দাদার খোঁজ মিলছিল না। এরপর ডিএনএ পরীক্ষায় তাঁর মৃতদেহ চিহ্নিত করা হয়। বুধবার গ্রামের বাড়িতে অজয়কুমারের শেষকৃত্য হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকালে ডিএনএ পরীক্ষায় অজয়কুমারের দেহ চিহ্নিত করা যায়। পরিবারের সদস্যরা আমদাবাদ পৌঁছন। হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয় বিশ্বাসকুমারকে।
এ দিন দাদার মরদেহ নিয়ে বিমানে দমন ও দিউ পৌঁছন বিশ্বাস। গ্রামের বাড়িতে দাদার দেহ কাঁধে চলতে চলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। দেখা যায়, তাঁর চোখের উপরে এবং নীচে ব্যান্ডেজ করা। বাঁ হাতেও ব্যান্ডেজ। সাদা পোশাকে দাদার মরদেহ কাঁধে চলেছেন। শেষকৃত্যের সময়ে তাঁকে বলতে শোনা যায়, “কবে লন্ডনে ফিরব জানি না। দাদাকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। একটা বিমানযাত্রায় সব শেষ হয়ে গেল।”
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)