চলতি অর্থ বছরে পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েতের উন্নয়নের জন্য অর্থ কমিশনের বরাদ্দ করা অনুদান পাবে না। কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েতি রাজ মন্ত্রকের অভিযোগ, রাজ্যের অর্থ কমিশন তৈরির ক্ষেত্রে যে যোগ্যতার মাপকঠি রয়েছে, তা মানেনি পশ্চিমবঙ্গ সরকার। রাজ্য অর্থ কমিশনের রিপোর্ট জমা দেওয়া, সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তার রিপোর্ট বিধানসভায় পেশের মতো শর্তও মানেনি। পঞ্চায়েতি রাজ মন্ত্রকের হিসাব অনুযায়ী, এর ফলে চলতি অর্থ বছরে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের পশ্চিমবঙ্গের জন্য বরাদ্দ অনুদান বাবদ প্রায় ৩,৫২৮ কোটি টাকা পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেনি রাজ্য।
এমনিতেই যখন একশো দিনের কাজ, আবাস যোজনা, জল জীবন মিশন নিয়ে কেন্দ্র টাকা আটকে রেখেছে বলে তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, তার মধ্যে পঞ্চায়েতি রাজ মন্ত্রকও টাকা আটকে দিলে নতুন সংঘাতের ক্ষেত্র তৈরি হবে বলে রাজনৈতিক শিবির মনে করছে। গত বছরই রাজ্যের পঞ্চায়েতগুলির মানোন্নয়ন এবং টাকা খরচের পরিকল্পনা তৈরির জন্য রাজ্য সরকার ষষ্ঠ অর্থ কমিশন গঠন করেছে। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী পাঁচ সদস্যের এই কমিশনের চেয়ারম্যান। আজ কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েতি রাজ মন্ত্রী রাজীব রঞ্জন সিংহ লোকসভায় এক প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছেন, রাজ্যের পঞ্চায়েতের মানোন্নয়নের জন্য চতুর্দশ ও পঞ্চদশ অর্থ কমিশন আর্থিক অনুদান মঞ্জুর করেছিল। চতুর্দশ অর্থ কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী ২০১৫-১৬ থেকে ২০১৯-২০ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ ১৪,১৯১ কোটি টাকা পেয়েছে। পঞ্চদশ অর্থ কমিশনে ২০২০-২১ থেকে ২০২৫-২৬-এর মধ্যে রাজ্যের জন্য ২১,৬১১ কোটি টাকা মঞ্জুর হয়েছিল। এর মধ্যে ২০২৪-২৫ পর্যন্ত রাজ্যকে ১৭,৯৩৮ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ২০২৫-২৬-এর জন্য বরাদ্দ টাকা পাওয়ার ক্ষেত্রে যোগ্যতার মাপকাঠিতে উতরোতে পারেনি পশ্চিমবঙ্গ।
পঞ্চায়েতি রাজ মন্ত্রকের অভিযোগ, গ্রামের মানুষের আবাসিক জমির মালিকানার নথি বা ‘প্রপার্টি কার্ড’ বিলির জন্য কেন্দ্র ‘স্বামিত্ব’ প্রকল্প চালু করেছে। পশ্চিমবঙ্গ এর রূপায়ণের জন্য মউ সই করেনি। অন্যান্য রাজ্য ‘প্রপার্টি কার্ড’ বন্ধক রেখে ঋণ নেওয়া, জমি বিবাদ কমানোর ফায়দা তুলছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)