এটি ইজরায়েলি সংস্থা এনএসও-র তৈরি সফটওয়্যার, যা মোবাইলে আড়ি পাতার অস্ত্র হিসেবে কাজ করে। ফোনে কী কথাবার্তা হচ্ছে, হোয়াটসঅ্যাপে কী আদান-প্রদান হচ্ছে সবই জানা যায়। ফোনে কী তথ্য, নথি, ছবি রয়েছে সেটাও দেখে ফেলা যায় এর মাধ্যমে। অথচ যাঁর মোবাইল হ্যাক করা হয়েছে, তিনি জানতেই পারেন না।
কী ভাবে কাজ করে এই স্পাইওয়্যার?
প্রথমে ফোনে একটি ওয়েবসাইটের লিঙ্ক পাঠানো হয়। তাতে ক্লিক করলেই মোবাইলে পেগাসাস ইনস্টল হয়ে যায়। এ ছাড়া হোয়াটসঅ্যাপে ভয়েস কল বা ভিডিয়ো কল করেও পেগাসাস ঢোকানো যায়।
কারা ফাঁস করল এই স্পাইওয়্যারের কথা?
২০১৯ সাল থেকে ১৬টি সংবাদমাধ্যম মিলে ‘পেগাসাস প্রোজেক্ট’ নামে একটি তদন্ত করেছিল। রবিবার সেই রিপোর্টের কিছু অংশ সামনে এসেছে।
আক্রান্ত কারা?
দু’জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, তিন জন বিরোধী নেতা-নেত্রী, এক জন সাংবিধানিক পদাধিকারী, চল্লিশের বেশি সাংবাদিক, বহু ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি, নিরাপত্তা সংস্থার বর্তমান ও প্রাক্তন প্রধান, সমাজকর্মী, আমলা, আইনজীবীরা আক্রান্ত এই স্পাইওয়্যারে।
সরকারের দাবি:
মোদী সরকার জানিয়েছে, ব্যক্তি পরিসরের মৌলিক অধিকারের প্রতি সরকার দায়বদ্ধ। নির্দিষ্ট কারও উপরে সরকারি নজরদারির অভিযোগ ভিত্তিহীন। ফোনে আড়ি পাতা, হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে নজরদারিতে সরকারি অনুমতি লাগে। আইন মেনেই ফোনে আড়ি পাতা হয়।
কবে প্রথম খবরে আসে পেগাসাস?
২০১৯-এর অক্টোবরে ফেসবুকের মালিকানাধীন সংস্থা হোয়াটসঅ্যাপ জানায়, চারটি মহাদেশের প্রায় ১৪০০ জনের মোবাইল পেগাসাসের মাধ্যমে হ্যাক করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ছিলেন কংগ্রেসের প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা, এনসিপি-র প্রফুল্ল পটেল, ভীমা কোরেগাঁও মামলার সঙ্গে যুক্ত একাধিক সমাজকর্মী, আইনজীবী ও সাংবাদিকরা।
প্রথম শোরগোলের পরে কী জানা গিয়েছিল?
২০১৯ সালে হোয়াটসঅ্যাপ দাবি করে, মে ও সেপ্টেম্বর মাসে তারা ভারত সরকারকে জানিয়েছিল, ভারতে ২০ জনের বেশি মানুষের মোবাইল হ্যাক হয়েছে। এ ছাড়া, ১২১ জনের মোবাইলে স্পাইওয়্যার হামলা হয়েছে।