Advertisement
E-Paper

ভারতে পাক হামলায় তুরস্কের ‘সোনগার’ ড্রোন! ‘ফতে-২’ ক্ষেপণাস্ত্রও ব্যবহার? কী কী বিশেষত্ব রয়েছে এই দুই অস্ত্রের

জম্মু, পঞ্জাব, রাজস্থান এবং গুজরাতে লাগাতার ড্রোন পাঠিয়ে হামলার চেষ্টা চালাচ্ছে পাকিস্তান। ভারতের আকাশসীমা ভেদ করার চেষ্টা করতেই সেগুলি ধ্বংস করছে অতন্দ্র প্রহরী ‘সুদর্শন চক্র’।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১০ মে ২০২৫ ১৪:৫৭
গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

ড্রোন দিয়ে মুহুর্মুহু হামলা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। কিন্তু সেই হামলা প্রতিহত করে পাকিস্তানের চেষ্টাকে ব্যর্থ করছে ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। গত দু’দিন ধরে জম্মু, পঞ্জাব, রাজস্থান এবং গুজরাতে লাগাতার ড্রোন পাঠিয়ে হামলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। ভারতের আকাশসীমা ভেদ করার চেষ্টা করতেই সেগুলিকে ধ্বংস করছে অতন্দ্র প্রহরায় থাকা ‘সুদর্শন চক্র’। শুধু তা-ই নয়, পাকিস্তানের এই হামলা প্রতিহত করতে আরও যে সামরিক অস্ত্রগুলি অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে সেগুলি হল, এল ৭০ বন্দুক, জ়ু-২৩ এমএম এবং শিল্কা।

সেনা এবং বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, যে ড্রোনগুলি পাকিস্তান লাগাতার হামলার চেষ্টা করছে, সেগুলি তুরস্কের তৈরি সোনগার ড্রোন। তুরস্কের সংস্থা অ্যাসিসগার্ড এই ড্রোনের নির্মাণকারী সংস্থা। এই ড্রোনগুলিকেই ‘সোয়ার্ম ড্রোন’ হিসাবে হামলার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। অর্থাৎ এক ঝাঁকে অনেক ড্রোন বিভিন্ন দিশায় পাঠিয়ে হামলার চেষ্টা। ২০১৯ সালে এই ড্রোন তুরস্কের সেনার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। ২০২০ সালে এর সফল পরীক্ষার পর পাকাপাকি ভাবে সামরিক অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার শুরু হয়।

কী এই সোনগার ড্রোন? এর বিশেষত্বই বা কী?

এই ড্রোনের আকার ১৪০ সেন্টিমিটার, ওজন ৪৫ কেজি। বিস্ফোরক ছাড়া এই ড্রোন ৩৫ মিনিট টানা উড়তে পারে। আধুনিক প্রযুক্তির যুগে এই ড্রোন সামরিক অস্ত্র হিসাবে বেশ সফল। স্বয়ংক্রিয় মেশিনগান, ছোট আকারের ক্ষেপণাস্ত্র এবং ৮১ মিলিমিটারের মর্টার বহনক্ষম এই ড্রোন মূলত ছোট ছোট হামলার কাজে ব্যবহার করা হয়। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩০০০ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত যেতে পারে এই ড্রোন। অভিযানের সময় যোগাযোগ স্থাপনে এই ড্রোন জিপিএস এবং গ্লোনাস নেভিগেশনকে কাজে লাগায়। স্বচালিত এবং দূরনিয়ন্ত্রিত দু’টি প্রযুক্তিই ব্যবহার করা হয়েছে এই ড্রোনে। এই ড্রোনের আবার রকমফের আছে। সেগুলি হল, সোনগার ৫.৫৬x৪৫ মিমি অ্যাসল্ট রাইফেল, সোনগার ২x৪০ মিমি গ্রেনেড লঞ্চার, সোনগার ৩x৮১ মিমি মর্টার গ্রিপার, সোনগার ৬x৪০ মিমি ড্রাম টাইপ গ্রেনেড লঞ্চার।

এই ড্রোনের বিশেষত্ব হল, সামরিক অস্ত্র এবং অন্য ড্রোনকে নিমেষ ধ্বংস করতে পারে। হঠাৎ আক্রমণ বা হামলার ক্ষেত্রে এই ড্রোন অত্যন্ত কার্যকরী।

শুধু ড্রোন হামলাই নয়, ক্ষেপণাস্ত্র হামলাও শুরু করেছে পাকিস্তান। তবে সেখানেও পাকিস্তানের সেই চেষ্টা ব্যর্থ হচ্ছে ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার পাল্টা জবাবে। ভারতীয় সেনা এবং সরকারের যৌথ বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, পাকিস্তান অত্যন্ত দ্রুতগতির ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে হামলা চালাতে। পাশাপাশি এটাও জানানো হয়েছে, পাকিস্তানের চারটি বায়ুসেনাঘাঁটি, দু’টি সেনাঘাঁটি এবং বিমানঘাঁটিতে প্রত্যাঘাত করা হয়েছে। আরও জানানো হয়েছে, ২৬টি জায়গায় হামলার চেষ্টা করে পাকিস্তান। তার মধ্যে রয়েছে উধমপুর, পঠানকোট, ভুজ, ভাতিন্ডা। এ ছাড়াও পঞ্জাবের বায়ুসেনাঘাঁটিতে দ্রুতগতির ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানোর চেষ্টা করা হয়।

কোনও কোনও সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, যে দ্রুতগতির ক্ষেপণাস্ত্রের কথা বলা হয়েছে, সেটি সম্ভবত ফতে-২। হরিয়ানার সিরসায় সেই ক্ষেপণাস্ত্র গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে কোনও কোনও সূত্রের দাবি।

কিন্তু কী এই ফতে ২?

এটি ভূমি থেকে ভূমি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। ৪০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুকে নিশানা করতে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্র। এটি পরমাণু অস্ত্র বহনক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র। এটি হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্র। ‘প্রিসিশন’ হামলার ক্ষেত্রে এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়। শত্রুপক্ষের গুরুত্বপূর্ণ জায়গা বিশেষ করে সেনাঘাঁটি, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়। এটি ফতে ১-এর থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী। পাকিস্তান দাবি করে, এটি তাদের দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি। যদিও এই ক্ষেপণাস্ত্রের জন্মের নেপথ্যে রয়েছে চিন, এমনই দাবি করা হয় বিভিন্ন সূত্রে।

Drone Attacks Jammu Poonch Pakistan
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy