বিশ্বের অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অন্যতম হল এস ৪০০ ট্রায়াম্ফ। যেটি ভারতীয় সেনায় ‘সুদর্শন চক্র’ নামে পরিচিত। জম্মু, পঞ্জাব এবং রাজস্থান লক্ষ্য করে যে ভাবে পাকিস্তান ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর চেষ্টা করছে, তাদের সব প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে। অতন্দ্র প্রহরীর মতো ভারতের আকাশসীমাকে আগলে রেখে পাকিস্তানের সেই প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়েছে সেনার ‘সুদর্শন চক্র’। আর এটিই ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অন্যতম বড় শক্তি।
এস ৪০০ ট্রায়াম্ফ একসঙ্গে ৮০টি লক্ষ্যবস্তুকে চিহ্নিত করতে পারে। আবার একসঙ্গে ৩৬টি লক্ষ্যবস্তুকে নিশানা করতেও সক্ষম এটি। শুধু তা-ই নয়, ৬০০ কিলোমিটার দূরে থাকা কোনও ড্রোন, যুদ্ধবিমান বা ক্ষেপণাস্ত্রকে দ্রুত চিহ্নিত করে। আর ৪০০ কিলোমিটার দূরে থাকা লক্ষ্যবস্তুকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা আছে এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার। আর এটিই পাক হামলার বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি কার্যকর ভূমিকা পালন করেছে বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন:
হামলা করা এবং হামলা প্রতিরোধ করার ক্ষেত্রে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বাজারে অন্য সামরিক অস্ত্রকে অনেক পিছনে ফেলে দিয়েছে এস ৪০০ ট্রায়াম্ফ। এটি সব রকম আবহাওয়ায় কাজ করতে পারে। মরুভূমিতেও যেমন কাজ করে আবার হাড় জমিয়ে দেওয়া ঠান্ডাতেও এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সমান ভাবে কার্যকর। এস ৪০০ ট্রায়াম্ফে উন্নত রেডার ব্যবস্থা রয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে ৯১এন৬ই বিগ ওয়ার্ড রেডার এবং ৯২এন৬ই গ্রেভ স্টোন রেডার ব্যবস্থা। এই রেডারের মাধ্যমে ৬০০ কিমি দূরের লক্ষ্যবস্তুকে চিহ্নিত করতে পারে। এমনকি স্টেল্থ বিমানকে চিহ্নিত করার ক্ষমতা রয়েছে এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার। চার ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন রয়েছে এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায়। ৪০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করার জন্য রয়েছে ৪০এন৬ ক্ষেপণাস্ত্র। ২৫০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে হামলার জন্য রয়েছে ৪৮এন৬ ক্ষেপণাস্ত্র। মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ৯এম৯৬ই২। এ ছাড়াও রয়েছে স্বল্প পাল্লার ৯এম৯৬ই ক্ষেপণাস্ত্র।
কী ভাবে কাজ করে এস ৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা?
এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটি পরিচালনার জন্য চারটি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। প্রথমে নজরদারি (সার্ভেল্যান্স) রেডার লক্ষ্যবস্তুকে চিহ্নিত করে। দীর্ঘপাল্লার এই রেডার ব্যবস্থা বার্তা পাঠিয়ে সতর্ক করে ‘কমান্ড ভেহিকল’কে। এই ‘কমান্ড ভেহিকল’ লক্ষ্যবস্তুকে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে নিশানা করার জন্য বার্তা পাঠায় ‘এনগেজমেন্ট রেডার’কে। ‘এনগেজমেন্ট রেডার’-এর সেই বার্তা ‘লঞ্চার ভেহিকল’-এ যায়। নিশানা ঠিক করে দেয় ‘এনগেজমেন্ট রেডার’। তার পরই ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে এস ৪০০।