Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

দেশে কবে আসবে করোনা টিকা? কথা বলছে ফাইজার ও কেন্দ্র

আশা করা যায়, ২০২০, অর্থাৎ বর্তমান বছরের মধ্যে ৫ কোটি টিকা উৎপাদিত হবে। ইতিমধ্যে সেই টিকা বণ্টনের জন্য আমেরিকা, ব্রিটেন ও জাপানের সঙ্গে চুক্তি করেছে ফাইজার।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

সংবাদসংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২০ ১৫:০৭
Share: Save:

ভারতে কবে আসতে পারে করোনা টিকা, সেই নিয়ে কথা বলছে মার্কিন সংস্থা ফাইজার ও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। টিকার ৯০ শতাংশ সাফল্যের খবর আসার পরেই এই আশার কথা শুনিয়েছে দু’পক্ষই। শোনা যাচ্ছে এই নিয়ে হতে পারে বৈঠক। কিন্তু তাতেও ভারতের বাজারে কত তাড়াতাড়ি এই টিকা আসবে, তা স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।

সম্প্রতি ৪০ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে প্রয়োগ করা করোনার টিকার আংশিক ফল প্রকাশিত হয়েছে। যে ৯৪ জনের শরীরে এই টিকার ফল প্রকাশ করা হয়েছে, তা সন্তোষজনক। সাফল্যের হার ৯০ শতাংশ বলে জানিয়েছে ফাইজার। তবে বয়ষ্ক ও আক্রান্ত মানুষদের শরীরে এটি কীভাবে কাজ করবে, তা জানা যাবে যখন ফাইজার আলাদা করে দু’মাসের সেফ্টি ‘ফলো-আপ ডেটা’ প্রকাশ করবে। নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত এর জন্য সময় লাগতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আমেরিকাতে এর পর ড্রাগ কন্ট্রোল ব্যুরোর অনুমোদন পাবে টিকা।

ভারতের ক্ষেত্রে চিত্রটা অন্যরকম। আশা করা যায়, ২০২০, অর্থাৎ বর্তমান বছরের মধ্যে ৫ কোটি টিকা উৎপাদিত হবে। ইতিমধ্যে সেই টিকা বণ্টনের জন্য আমেরিকা, ব্রিটেন ও জাপানের সঙ্গে চুক্তি করেছে ফাইজার। ভারতের সঙ্গে এমন কোনও চুক্তি হয়নি। আর শুধু চুক্তি সারলেই হবে না, ভারতের বাজারে টিকা আনতে গেলে আগে স্থানীয় স্তরে এটির পরীক্ষাও চালাতে হবে। প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ করতে স্বাভাবিক ভাবে সময় লাগবে। সেই কারণেই মনে করা হচ্ছে করোনার টিকা সাফল্য পেলেও তা দ্রুত ভারতের হাতে আসছে না। এলেও টিকার সংরক্ষণ নিয়ে নানা প্রশ্নচিহ্ন আছে। টিকা বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ফাইজারের টিকা হিমাঙ্কের ৭০ ডিগ্রি নীচে সংরক্ষণ করতে হয়। ভারতে এমন পরিকাঠামোর অভাব রয়েছে, যেখানে বিপুল পরিমাণ টিকা এভাবে সঞ্চয় করা যাবে।

আরও পড়ুন: ৭ মাসের ‘ঘুম’ ভাঙা আড়ষ্টতা কাটতেই ভিড়-ব্যস্ততার চেনা ছবি হাওড়া স্টেশনে

এত জটিলতার মধ্যেও আশার কথা শুনিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “করোনা টিকার জন্য তৈরি হওয়া জাতীয় বিশেষজ্ঞ দল সব টিকা নির্মাতাদের সঙ্গেই যোগাযোগ রাখছেন নিয়মিত। প্রয়োজনীয় অনুমতির বিষয়েও নজর রাখা হচ্ছে। যে টিকা সংরক্ষণের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা দরকার সেগুলিও সম্ভব করা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এটি একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া। যখন যা নতুন খবর আসবে, আমরা সংবাদমাধ্যমে জানিয়ে দেব।” অন্যদিকে ফিজার জানিয়েছে, সারা পৃথিবীতেই সংস্থা টিকা পৌঁছে দিতে বদ্ধ পরিকর। সেই কারণেই সংস্থা চাইছে, ভারত সরকারের সঙ্গে কথা বলে দেশের মানুষের কাছে দ্রুত টিকা পৌঁছে দিতে।

আরও পড়ুন: টিকার সাফল্যে লুকিয়ে এক দম্পতির অধ্যবসায়

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

coronavirus Covid 19 Pfizer Health Ministry
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE