Advertisement
E-Paper

পড়াশোনা নামী ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে, মা শিক্ষিকা, বাবা ইমারত ব্যবসায়ী! পটনা-কাণ্ডের তৌসিফ কী ভাবে ‘ডন’ হয়ে উঠলেন?

পটনার হাসপাতালে আইসিইউয়ে ঢুকে এক রোগী চন্দন মিশ্রকে খুনের অভিযোগ রয়েছে তৌসিফ-সহ ছয় দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। তৌসিফ ধরা পড়লেও বাকি পাঁচ দুষ্কৃতী এখনও অধরা।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২৫ ১৫:১৭
পটনা গুলিকাণ্ডে অভিযুক্ত তৌসিফ। ছবি: সংগৃহীত

পটনা গুলিকাণ্ডে অভিযুক্ত তৌসিফ। ছবি: সংগৃহীত

আসল নাম তৌসিফ রাজা। কিন্তু তিনি নিজেকে ‘বাদশাহ’ বলতেই বেশি পছন্দ করেন। তাই রাজা নয়, নিজেকে তৌসিফ বাদশাহ বলেই পরিচয় দেন। পটনার ফুলওয়ারী শরীফের বাসিন্দা তৌসিফকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পটনার হাসপাতালে আইসিইউয়ে ঢুকে এক রোগী চন্দন মিশ্রকে খুনের অভিযোগ রয়েছে তৌসিফ-সহ ছয় দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। তৌসিফ ধরা পড়লেও বাকি পাঁচ দুষ্কৃতী এখনও অধরা। পটনার এই ঘটনা শোরগোল ফেলে দিয়েছে চার দিকে।

কে এই তৌসিফ?

পুলিশ সূত্রে খবর, পটনার একটি নামী ইংরেজি মাধ্যম স্কুল থেকে পড়াশোনা করেছেন তৌসিফ। স্কুলের গণ্ডি পেরিয়েই অপরাধের দুনিয়ায় পা রাখেন তিনি। সব সময় নিজেকে চর্চার মধ্যে রাখতে পছন্দ করেন। অল্প সময়ে পরিচিত হওয়ার লক্ষ্যে অপরাধজগতকে বেছে নেন। শুরু হয় তাঁর অপরাধদুনিয়ায় সফর। সুপারি নিয়ে খুন করার কাজ শুরু করেন। তার পর ধীরে ধীরে নিজের একটি ‘গ্যাং’ বানান। মূলত অল্পবয়সি ছেলেদের নিজের দলে নেওয়া শুরু করেন। তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা রয়েছে। টাকার বিনিময়ে খুন করা, খুনের জন্য নানা রকম ভাবে সহযোগিতা করা— এই ধরনের কাজ করেন তিনি। তৌসিফ আবার কাজ করেন ‘শেরু গ্যাংয়ের’ হয়ে। শেরুর সঙ্গে চন্দনের একটা ব্যবসায়িক শত্রুতা চলছিল। সেই সূত্রেই চন্দনকে খুন করা হয়েছে বলে সন্দেহ পুলিশের। আর এই খুনের সুপারি দেওয়া হয়েছিল তৌসিফকে।

পুলিশ জানিয়েছে, তৌসিফের মা একজন শিক্ষিকা। বাবার ইমারতি দ্রব্যের ব্যবসা রয়েছে। তৌসিফের নিজের একটি ব্যবসাও রয়েছে। জমি, বাড়ির দালালি করেন। বৃহস্পতিবার পটনায় গুলিকাণ্ডে তৌসিফই মূল অভিযুক্ত বলে জানিয়েছে পুলিশ।

patna
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy