প্রায় পাঁচ মাস কেটে গিয়েছে। গত জুন মাসে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। জিতিন প্রসাদের দলত্যাগে এআইসিসি-তে পশ্চিমবঙ্গের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের পদও খালি হয়ে যায়। জিতিন এর মধ্যে বিজেপিতে গিয়ে উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকারের মন্ত্রীও হয়ে গিয়েছেন। কিন্তু কংগ্রেস এখনও সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির কোনও সাধারণ সম্পাদককে পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বে পাঠাতে পারেননি। এর ফলে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে পশ্চিমবঙ্গের কতটা গুরুত্ব রয়েছে, তা নিয়েই দলের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে।
কংগ্রেসে ইতিমধ্যে সাংগঠনিক নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। সেই নির্ঘণ্ট অনুযায়ী, ১ নভেম্বর থেকে সদস্যপদ অভিযান শুরু হয়ে গিয়েছে। ২০২২-এর ২১ জুলাই থেকে ২০ অগস্টের মধ্যে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি থেকে এআইসিসি-র নতুন সদস্য নির্বাচন হবে। সেপ্টেম্বরে সভাপতি নির্বাচন। এর আগে কি এআইসিসি-তে নতুন করে কাউকে পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্ব দেওয়া হবে? না কি সাংগঠনিক নির্বাচনের পরেই বাংলার দায়িত্বে নতুন কাউকে নিয়োগ করা হবে?
কংগ্রেসের এক শীর্ষ নেতার দাবি, “খুব শীঘ্রই এআইসিসি-র এক জন সাধারণ সম্পাদককে পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বে নিয়োগ করা হবে। দলের প্রথা অনুযায়ী, সাংগঠনিক নির্বাচনের প্রক্রিয়া দেখভালের জন্যই একজন সাধারণ সম্পাদক থাকা দরকার। সাংগঠনিক নির্বাচনের পরে নতুন করে এআইসিসি গঠন হলে, তখন আবার দায়িত্ব বণ্টন হবে।” ওই নেতার বক্তব্য, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে এখন আর কোনও রদবদল হবে না। অধীররঞ্জন চৌধুরীই রাজ্যে সভাপতি থাকবেন। সাংগঠনিক নির্বাচনের সময়ে পশ্চিমবঙ্গেও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে নির্বাচন হবে।
আগামী কয়েক মাসের জন্য কাকে এআইসিসি-তে বাংলার দায়িত্ব দেওয়া হবে, তা নিয়ে অবশ্য এখনও ইঙ্গিত নেই। কিছু দিন আগে সলমন খুরশিদ, গৌরব গগৈয়ের নাম নিয়ে জল্পনা চলছিল। কিন্তু খুরশিদকে প্রিয়ঙ্কা গাঁধী উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনী ইস্তাহার তৈরির দায়িত্ব দিয়েছেন। গগৈ আগে বাংলার দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু এখন তাঁকে অসমেই বেশি সময় রাখা প্রয়োজন বলে কংগ্রেসের বড় অংশের মত। বি কে হরিপ্রসাদের মতো কয়েক জন প্রবীণ নেতার নাম নিয়েও ভাবনাচিন্তা হচ্ছে বলে কংগ্রেস
সূত্রের খবর।