তুতো ভাইদের ঢেলে দিয়েছেন দাদু। দু’জনকেই কোম্পানির মাথায় বসিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু তাঁকে মাত্র চার কোটির শেয়ার! সেই রাগেই হায়দরাবাদের শিল্পপতি দাদুকে অন্তত ৭০ বার কুপিয়ে খুন করেছেন আমেরিকা-ফেরত নাতি। রেহাই পাননি তাঁর নিজের মা-ও। তাঁকেও ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়েছেন তরুণ। তদন্তে নেমে এমনটাই জানতে পেরেছে পুলিশ।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে নিজের বাড়িতেই খুন হন হায়দরাবাদের ভেলজান গোষ্ঠীর কর্ণধার ভিসি জনার্দন রাও (৮৫)। তাঁকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে তাঁরই নাতি কে কীর্তি তেজার বিরুদ্ধে। অভিযুক্তের মা-ও গুরুতর জখম হয়েছেন অস্ত্রের আঘাতে। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পড়াশোনা শেষ করে সদ্যই আমেরিকা থেকে দেশে ফিরেছিলেন তেজা। দেশে ফেরার পর বৃহস্পতিবার মাকে নিয়ে দাদুর সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাড়িতে যান তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, সেখানে সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে বিবাদ শুরু হয় তেজা এবং জনার্দনের মধ্যে। বচসা চলাকালীনই ছুরি বার করে দাদুকে এলোপাথাড়ি কোপ মারতে থাকেন তেজা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বৃদ্ধের।
পুলিশ জানিয়েছে, তেজার দাবি, ছোটবেলা থেকেই তাঁকে কম ভালবাসতেন দাদু। তা নিয়ে রাগ ছিলই। সম্প্রতি তাঁকে সম্পত্তির ভাগ দিতেও অস্বীকার করায় রাগের মাথায় তিনি দাদুকে খুন করেছেন। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, তেজার দুই তুতো ভাইকে ভেলজান গোষ্ঠীর মাথায় বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বৃদ্ধ শিল্পপতি। কিন্তু তেজার ভাগ্যে জুটেছিল চার কোটি টাকার শেয়ার। তা নিয়েই বচসার সূত্রপাত। সেই সময় পকেট থেকে ছুরি বার করে বৃদ্ধকে কোপাতে শুরু করেন তেজা। সেই সময় তাঁর মা রান্নাঘরে গিয়েছিলেন কফি বানাতে। আর্তনাদ শুনে ছুটে এসে ছেলেকে থামানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাঁকেও ছুরি দিয়ে কোপান তেজা।
শুক্রবার ওই ঘটনার পর পরিবারের তরফে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। তার ভিত্তিতেই শনিবার গ্রেফতার করা হয় তেজাকে।