ফাইল চিত্র।
যে দেশে কামসূত্র লেখা হয়েছে, সে দেশের প্রবীণ সাংসদদের কি যৌনতা নিয়ে আলোচনা করার মতো পরিণতমনস্কতা নেই! সংসদে প্রবীণদের কক্ষ রাজ্যসভাতেই এই প্রশ্ন উঠল আজ।
সাংসদেরাই হট্টগোল করে সংসদ অচল করেন। অবসরের দিনে আবার তা নিয়ে আক্ষেপও করেন। কিন্তু অবসরের আগে সেই বোধ কেন দেখা যায় না, তা নিয়ে আলোচনাও হয়। তবে আজ রাজ্যসভার সাংসদদের বিদায়বক্তৃতায় পরিণতমনস্কতার প্রশ্ন উঠল, অন্য ভাবে। এনসিপি নেতা ডি পি ত্রিপাঠি বলেন, ‘‘যে দেশে কামসূত্র লেখা হয়েছে, সে দেশের সংসদে যৌনতা নিয়ে আলোচনা হয়নি। আমরা এত ভীতু কেন?’’ তাঁর যুক্তি, মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধী, রামমনোহর লোহিয়াও যৌনতা নিয়ে আলোচনা করেছেন। পাঁচ বছরে দশ লক্ষ তরুণ ভারতীয় যৌন রোগে মারা যাবেন বলে সমীক্ষা বলছে। অথচ সংসদ তা নিয়ে আলোচনায় ভয় পাচ্ছে!
গত তিন সপ্তাহ অচল থাকলেও আজ মেয়াদ শেষ হওয়া সাংসদদের বিদায় জানাতে রাজ্যসভার অধিবেশন চলেছে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা। অবসর নিচ্ছেন সচিন তেন্ডুলকর, রেখা-র মতো রাষ্ট্রপতি মনোনীত সাংসদেরাও। বিদায়ীদের ঢাল করেই বিরোধীদের খোঁচা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, ‘‘দুর্ভাগ্যজনক হল, শেষ অধিবেশনে ওঁরা গুরুত্বপূর্ণ আইন পাশে অংশ নিতে পারলেন না। বিরোধীদের হট্টগোলেই তা হয়নি। এমনকী, বিদায়ী সাংসদদের ধন্যবাদ জ্ঞাপনও হচ্ছিল না।’’ পাল্টা আক্রমণে কংগ্রেসের গুলাম নবি আজাদ বলেন, ‘‘সাংসদেরা মানুষের সমস্যা বা ব্যাঙ্ক দুর্নীতি নিয়ে সরব। কেউ অন্য কোনও ফায়দার জন্য সংসদ অচল করছেন না।’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy