প্রতীকী ছবি।
স্বামীর যৌনাঙ্গ কেটে নেওয়ার জন্য সুপারি দিয়েছিলেন দু’জন ভাড়াটে খুনিকে। প্রত্যেককে দিয়েছিলেন দশ হাজার টাকাও। কিন্তু, সেই দুষ্কৃতীরাই খুন করে ফেলল ৫৫ বছরের শাফাতুল্লাহ খান নামে চিকিৎসককে।
গত মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ভোপালে। শনিবার পুলিশ নিহত চিকিৎসকের স্ত্রী আয়েশাকে গ্রেফতার করেছে। জেরায় নিজের দোষও কবুল করেছেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি জানান, এ কাজে তাকে সাহায্য করেছেন তাঁর ভাইঝি এবং তার স্বামীও। পুলিশ আয়েশার ভাইঝি ৩০ বছরের নন্দিনী ও ভাইঝির স্বামী পবন বিশ্বকর্মাকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে। জেরায় প্রত্যেকেই নিজেদের দোষ স্বীকার করেছেন।
জেরায় পবন জানিয়েছেন, শাফাতুল্লাহকে মার ধর করার জন্য দু’জন লোক ভাড়া করা হয়েছিল। প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। প্রথমে খুনের পরিকল্পনা ছিল না। কিন্তু রাজেন্দ্র এবং দেবরাজ নামে ওই দুই ভাড়াটে গুণ্ডা মার ধর করতে গিয়েই খুন করে ফেলেন শাফাতুল্লাহকে।
আরও পড়ুন: কর্মীদের জন্য নতুন হেলথ কার্ড আনছে রেল
জব্বলপুরের সুপার শশীকান্ত শুক্ল জানিয়েছেন, গত মঙ্গলবার রাতে নিজের বাড়িতে খুন হন ৫৫ বছরের চিকিৎসক শাফাতুল্লাহ খান। শাফাতুল্লাহের শরীরে একাধিক বার ছুরির আঘাত দেখতে পান তদন্তকারীরা। আঘাতের চিহ্ন ছিল বুক, গলা, কবজিতে। একই সঙ্গে কাটা ছিল চিকিৎসকের যৌনাঙ্গও। ঘরের জিনিস পত্র ছিল তছনছ করা। তদন্তকারীদের ধারণা, বিষয়টি দেখে যাতে মনে হয় চুরির কারণেই খুন, তারই চেষ্টা করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: মদের টাকায় মধু খাচ্ছেন বিহারবাসী!
কিন্তু, কেন স্বামীকে খুনের পরিকল্পনা?
১৯৯১ সালে আয়েশার সঙ্গে বিয়ে হয় শাফাতুল্লাহের। আয়েশার অভিযোগ, একাধিক মহিলার সঙ্গেই সম্পর্ক ছিল তাঁর স্বামীর। এমনকী, চাকরি দেওয়ার নাম করে শাফাতুল্লাহ বেশ কয়েক জন মহিলাকে ধর্ষণ করে বলেও অভিযোগ। এমনকী, তার লালসার শিকার হতে হয়েছিল নন্দিনীকেও। আর সে জন্যই নন্দিনী এবং তাঁর স্বামী এই খুনে সাহায্য করেছেন— দাবি আয়েশার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy