বান্দ্রা স্টেশন থেকে ৩০০ মিটার দূরে ট্রেন থেকে পড়ে গিয়েছিল কিশোর। প্রতীকী ছবি।
দূর থেকে তিনি লক্ষ করেছিলেন, লাইনের ধারে মাথা নুইয়ে পড়ে রয়েছে এক কিশোর। তাকে ওই অবস্থায় দেখে জোরে হাঁটা লাগিয়েছিলেন রেলপুলিশের কর্তব্যরত কনস্টেবল চেতন তাতু। কাছে গিয়ে চমকে উঠেছিলেন তিনি। একটা গোঙানির শব্দ বেরোচ্ছিল কিশোরের মুখ থেকে। কনস্টেবল কাছ যেতেই কোনও রকমে নুইয়ে পড়া মাথাটা তুলেছিল সে।
‘‘তোমার নাম কী?’’ প্রশ্ন করতেই কিশোর কনস্টেবলকে বলে ক্ষীণ কণ্ঠে বলে ওঠে, “আমি কি বাঁচব, স্যর?” তার পরই জ্ঞান হারায় সে। কনস্টেবল তাতু দেখেন, কিশোরের এক পায়ের হাঁটুর নীচ থেকে ট্রেনের চাকায় কেটে গিয়েছে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় কিশোরকে দ্রুত উদ্ধার করে স্টেশনে নিয়ে যান। সেখান থেকে হাসপাতালে ভর্তি করান। ঘটনাটি মুম্বইয়ের বান্দ্রার।
গত ৬ জানুয়ারি বন্ধুদের সঙ্গে মাহিম থেকে বান্দা যাচ্ছিল ফারহান নামে ওই কিশোর। বান্দ্রা স্টেশন থেকে ৩০০ মিটার দূরে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে যায় সে। এক পা কাটা পড়ে। ট্রেন থেকে পড়ে যাওয়ার খবর তার বাড়ির লোককে জানায় কিশোরের সঙ্গে থাকা বন্ধুরা। পুলিশ খোঁজ লাগিয়ে ফারহানের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে। ভাবা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল ফারহানকে। খবর পেয়ে সেই হাসপাতালে ফারহানের বাবা কামরু পৌঁছন।
বাবাকে দেখেই কেঁদে ওঠে সে। বার বার বলতে থাকে, “বাবা, আমাকে বাঁচাও।” কামরু বলেন, “ছেলেকে ওই অবস্থায় দেখব ভাবিনি। ওর পা বাদ গিয়েছে।” চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আর একটু দেরি হলে কিশোরকে বাঁচানো সম্ভব হত না। যদিও কনস্টেবলের তৎপরতায় ফারহানের প্রাণরক্ষা হল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy