এক বছরও বাকি নেই উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের। এআইসিসি-তে উত্তরপ্রদেশের ভারপ্রাপ্ত প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা সে রাজ্যে গেলেন দেড় বছর পরে। তা-ও তিন দিনের লখনউ সফরে। লখনউ বিমানবন্দরে তাঁকে আজ স্বাগত জানান অসংখ্য কংগ্রেস কর্মী। কিন্তু দলে প্রশ্ন, মাঝে-মধ্যে তিন-চার দিনের জন্য লখনউ গিয়ে কি উত্তরপ্রদেশের মতো বিরাট রাজ্যে কোনও প্রভাব ফেলতে পারবেন প্রিয়ঙ্কা?
কালই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কোভিড মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। আজ লখনউ পৌঁছনোর আগেই প্রিয়ঙ্কা বলেন, “কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে যোগী সরকারের নিষ্ঠুরতা, অবহেলা ও অব্যবস্থা মোদীর শংসাপত্র দিয়ে লুকনো সম্ভব নয়।”
রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা নিয়ে বিজেপিকে নিশানা করেন প্রিয়ঙ্কা। হজরতগঞ্জে গাঁধী মূর্তিতে মালা দিয়ে তার সামনেই মৌন ধর্নায় বসেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অজয় কুমার লাল্লুকে নিয়ে। পুলিশ কোভিড-দূরত্ববিধির কথা বলে ধর্না তুলতে এলেও প্রিয়ঙ্কা মৌনব্রত ভাঙেননি। লিখে জানান, দূরত্ববিধি তো পঞ্চায়েত ভোটের সময়ও ছিল!
বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডা উত্তরপ্রদেশের বিজেপির কার্যকরী সমিতির বৈঠকে জেলা পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রধানের ভোটে জয়ের জন্য রাজ্য নেতাদের ও যোগী সরকারের প্রশংসা করেছেন। মনৌব্রত শেষ করার পরে প্রদেশ কংগ্রেস দফতরে গিয়ে প্রিয়ঙ্কা বলেন, যোগী সরকার ব্যর্থ হয়েছে বলেই গণতন্ত্রকে ধূলিসাৎ করে অরাজকতা তৈরির চেষ্টা করছে। কৃষক নেতাদের সঙ্গেও আজ প্রিয়ঙ্কা বৈঠক করেছেন।
আগামী দু’দিন প্রিয়ঙ্কা রাজ্যের নেতাদের সঙ্গে টানা বৈঠক করবেন। প্রিয়ঙ্কা তাঁর জন্য তৈরি লখনউয়ের বাড়িতেই ডেরা বেঁধেছেন। তবে কবে থেকে তিনি লখনউয়ে পাকাপাকি গিয়ে থাকবেন, তার জবাব মেলেনি।