Advertisement
E-Paper

১২ ঘণ্টার মধ্যে খোঁজ মিলল কিশোরীর

অপহরণের ১২ ঘণ্টার মধ্যে সাত বছরের আদিশ্রী দত্তকে খুঁজে বার করল গুয়াহাটি পুলিশ। পুলিশের জালে ধরা পড়েছে অপহরণের মূল পাণ্ডা রুমি দাশ ও তার পাঁচ সাগরেদ।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০১৬ ০৩:৫২
গ্রেফতার হওয়ার পর অপহরণকারীরা। সঙ্গে আদিশ্রী দত্ত (ইনসেটে)। ছবি: পিটিআই।

গ্রেফতার হওয়ার পর অপহরণকারীরা। সঙ্গে আদিশ্রী দত্ত (ইনসেটে)। ছবি: পিটিআই।

অপহরণের ১২ ঘণ্টার মধ্যে সাত বছরের আদিশ্রী দত্তকে খুঁজে বার করল গুয়াহাটি পুলিশ। পুলিশের জালে ধরা পড়েছে অপহরণের মূল পাণ্ডা রুমি দাশ ও তার পাঁচ সাগরেদ।

পুলিশ জানিয়েছে, দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী আদিশ্রীর অপহরণে অভিযুক্ত তারই বাড়ির পরিচারিকা রুমি। আদিশ্রীর বাবা দিগন্ত দত্ত ও মা আমিনাক্ষী দত্ত দু’জনেই ডাক্তার। জয়নগরে ‘ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপার্টমেন্ট’ নামে একটি বহুতলে থাকেন তাঁরা। ৩ অগস্ট তাঁদের বাড়িতে কাজে যোগ দেয় রুমি।

তদন্তে নেমে বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ বুঝতে পারে, বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ রুমির সঙ্গে বাড়ি থেকে বেরিয়েছে আদিশ্রী। রুমির মোবাইলে বার বার ফোন করে দেখা যায়, সেটি বন্ধ। পুলিশ খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, গুয়াহাটির বাইরে কোথাও গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে সে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বরপেটা জেলার সার্থেবাড়ি এলাকার একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় আদিশ্রীকে। রুমি-সহ ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যে বাড়িতে আদিশ্রীকে রাখা হয়েছিল, সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয় রুমি, নির্মল কালিতা ও আনোয়ার হোসেনকে। পুলিশ সূত্রে খবর, আনওয়ারের বাড়িতেই রাখা হয়েছিল আদিশ্রীকে। রুমির সঙ্গে নির্মল কালিতার সম্পর্ক ছিল বলেও জানা গিয়েছে। এই তিন জনকে জেরা করে বড়পেটা থেকে গ্রেফতার করা হয় আরও তিন জন— লোকমান আলি, দানেশ আলি ও টিঙ্কু আলিকে।

ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট অব বড়োল্যান্ড (এনডিএফবি-এস) নামে একটি জঙ্গি সংগঠনের হাতে আদিশ্রীকে তুলে দেওয়ার ছক কষেছিল তারা। জঙ্গিরা আদিশ্রীর বাবা-মায়ের কাছ থেকে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ চাইত।

জেরায় অপহরণকারীরা জানিয়েছে, আইসক্রিম খাওয়াবে বলে আদিশ্রীকে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়েছিল রুমি। সরিয়াঘাট সেতু দেখাতে যাবেও বলেছিল। বাড়ি থেকে বেরিয়ে একটি ওলা ট্যাক্সি ধরে তারা। একটু পরে নির্মল কলিতা সেই ট্যাক্সিতে উঠে পড়ে। বাড়ি থেকে বেরনোর একটু পরেই মোবাইলের সিম পাল্টে ফেলে রুমি। তবে সিম পাল্টানোর ঠিক আগে যে ক’টা ফোন সে করেছিল, সেগুলোর সূত্র ধরেই শেষ পর্যন্ত তাদের খোঁজ পায় পুলিশ।

১২ ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশের এই অভাবনীয় সাফল্যে উচ্ছ্বসিত পুলিশ কমিশনার মুকেশ অগ্রবাল। তিনি বলেন, ‘‘ এই সাফল্যের পিছনে আছে সুচিন্তিত পরিকল্পনা। বুদ্ধি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি— এই তিনের সমন্বয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে’’, বলেন তিনি। অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালও পুলিশকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

Abduction Police accuse
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy