Advertisement
E-Paper

ফেসবুকে নগ্ন ছবি পোস্ট, মহিলার অভিযোগে প্রাক্তন লেসবিয়ান পার্টনার গ্রেফতার

এক দশকেরও বেশি সময়ের প্রেম। বছর দশেক তো একসঙ্গেই থেকেছেন। হঠাত্ই সেই প্রেম ভেঙে গেল! ভাঙনের হাঁ আরও চওড়া হয়ে উঠল, যখন এক পার্টনারের বিরুদ্ধে অন্য জন থানায় গেলেন।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১৫:১৭

এক দশকেরও বেশি সময়ের প্রেম। বছর দশেক তো একসঙ্গেই থেকেছেন। হঠাত্ই সেই প্রেম ভেঙে গেল! ভাঙনের হাঁ আরও চওড়া হয়ে উঠল, যখন এক পার্টনারের বিরুদ্ধে অন্য জন থানায় গেলেন। অভিযোগ করলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর নগ্ন ছবি পোস্ট করে দিয়েছেন ‘গার্লফ্রেন্ড’! ঘটনা থানা থেকে আদালত পর্যন্ত গড়ায়। সোমবার অভিযুক্ত ‘বান্ধবী’র জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে মুম্বইয়ের এক দায়রা আদালত।

পশ্চিম মুম্বইয়ের শহরতলি এলাকার এক হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগে কাজ করতেন দুই মহিলা। দু’জনেরই বয়স বছর পঁয়তাল্লিশ হবে। নবগড় থানার এক পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, বেশ কিছু দিন একসঙ্গে কাজ করার পর ওই দু’জনের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়। তাঁদের মধ্যে এক জন বিবাহিত ছিলেন। কিন্তু, কোনও কারণে সেই সম্পর্ক ভেঙে যায়। হয় বিবাহ বিচ্ছেদও। এর পরেই ওই সহকর্মীর সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব গাঢ় হয়। একসঙ্গে থাকতেও শুরু করেন তাঁরা।

মাস ছয়েক আগে সমস্যার সূত্রপাত। অভিযোগকারিণী জানতে পারেন, গার্লফ্রেন্ড গত দু’বছর ধরে তাঁরই বিভিন্ন গোপন ছবি ফেসবুকে পোস্ট করছিলেন। তবে, সেটাই প্রথম নয়। এর আগে গত বছরের ২১ নভেম্বরেও ওই অভিযোগকারিণী পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কারণ? তার কয়েক দিন আগে তিনি হঠাত্ই খেয়াল করেছিলেন, অভিযুক্ত ‘গার্লফ্রেন্ড’ হোয়াটসঅ্যাপের ডিসপ্লে প্রোফাইল হিসেবে তাঁর নগ্ন ছবি ব্যবহার করেছেন। প্রশ্ন করায় অভিযুক্ত মহিলা জানিয়েছিলেন, আগের দিন তিনি যখন বাথরুমে ছিলেন তখন এই ছবিটি তোলা হয়। আপত্তি জানালে অভিযুক্ত মহিলা তাঁর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যান।

আরও পড়ুন: সাত বছরের মেয়ের উপর যৌন অত্যাচার চালাত স্কুলেরই দুই দিদি!

এর পরে ফেসবুকে তাঁর নগ্ন ছবি দেখতে পেয়ে ফের পুলিশের কাছে যান ওই মহিলা। গত ৪ ফেব্রুয়ারি মুলন্দের নবগড় থানায় অভিযোগ দায়েরের পর ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ (কোনও মহিলার সম্মান নষ্ট করা), ৫০৬ (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) এবং ৫০৯ (কোনও মহিলার বিরুদ্ধে অপমানজনক শব্দ ব্যবহার, আচরণ) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত মহিলার মোবাইল ফোনটি এখনও খুঁজে পায়নি পুলিশ। যে হেতু দুই মহিলা একই অফিসে কাজ করতেন, তাই তিনি সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন এই আশঙ্কাও করছে পুলিশ।

Social Media Facebook Whatsapp
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy