সন্তানকে কোলে নিয়ে খাবার সরবরাহ করছেন মহিলা। ছবি সৌজন্য ইনস্টাগ্রাম।
কলিং বেলের আওয়াজ পেয়ে দরজাটা খুলেছিলেন সৌরভ। আন্দাজ করেছিলেন, যে খাবার তিনি অর্ডার দিয়েছেন, তা এসে গিয়েছে। আন্দাজটা ঠিকই ছিল সৌরভের। কিন্তু দরজা খুলতেই তিনি স্তম্ভিত হয়ে যান।
দরজায় দাঁড়ানো ডেলিভারি এজেন্টের মাথায় হেলমেট, মুখে মাস্ক, কোলে মাস ছয়েকের শিশু। অর্ডার করা খাবারের প্যাকেটটা সৌরভের দিকে এগিয়ে দেন ওই মহিলা এজেন্ট।
কিন্তু কোলে কেন শিশু নিয়ে ঘুরছেন? কৌতূহলবশেই প্রশ্নটা ছুড়ে দিয়েছিলেন সৌরভ পাঞ্জওয়ানি। স্মিত হেসে মহিলা উত্তর দিয়েছিলেন, “হ্যাঁ, আমার দুই ছেলেমেয়েকে সঙ্গে নিয়েই খাবার ডেলিভারি দিই।”
এই কথোপকথন যখন চলছিল, বছর পাঁচেকের একটি ছেলে ওই মহিলার কাছে দৌড়ে আসে। আবারও প্রশ্ন করেন সৌরভ, “এ কি আপনার ছেলে? এ-ও আপনার সঙ্গে যায়?” এ বারও মৃদু হেসে মহিলা মাথা নেড়ে বলেন, “হ্যাঁ।” এ কথা শোনার পর সৌরভের মুখ থেকে বেরিয়ে আসে, ‘‘সত্যিই, আপনাকে কুর্নিশ জানানো উচিত!”
মহিলার এই লড়াইয়ের কাহিনি নেটমাধ্যমে তুলে ধরেছেন সৌরভ। তাঁর সেই পোস্ট সংশ্লিষ্ট অনলাইন খাবার সংস্থার কাছে পৌঁছতে তারা মহিলা এজেন্টের নাম-সহ যাবতীয় তথ্য সৌরভের কাছে চেয়েছে। কেননা, তাদের ওই কর্মীকে সহযোগিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। সেটিও নেটমাধ্যমে প্রকাশ করেছেন সৌরভ। এক কর্মীর পাশে দাঁড়ানোর ইচ্ছাপ্রকাশের এই প্রস্তাবে অনেকেই সেই সংস্থার প্রশংসা করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy