Advertisement
E-Paper

পুত্রসন্তানই চাই, দু’বার গর্ভপাত করিয়ে শ্বশুর, দেওরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে বধূকে বাধ্য করল পরিবার!

বধূর অভিযোগ, পুত্রসন্তানের জন্য স্বামী তাঁকে বাধ্য করেন শ্বশুর এবং দেওরের ঘনিষ্ঠ হতে। কয়েক মাস ধরে অত্যাচারিত হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০২৫ ২০:১১
Kanpur Domestic Violencee Case

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

দু’বার অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন। কিন্তু দু’বারই পেটের সন্তানকে নষ্ট করতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। কারণ, ভ্রূণ নির্ধারণ করিয়ে শ্বশুরবাড়ি জেনে নেয়, মেয়ে হবে। পুত্রসন্তানের জন্য সেই বধূকে বাধ্য করা হয় শ্বশুর এবং দেওরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল উত্তরপ্রদেশের কানপুরে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

২০২১ সালে কানপুরের বাসিন্দা শাহ ফাইদ এবং মাহেক খানের বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক মাস যেতেই মোটা অঙ্কের পণের জন্য মাহেকের বাপের বাড়ির উপর চাপ তৈরি করা হয় বলে অভিযোগ। জামাইয়ের দাবি, নগদ কয়েক লক্ষ টাকা এবং একটি চারচাকার গাড়ি দিতে হবে। তা দিতে না পারায় স্ত্রীকে প্রত্যহ মারধর করতেন বলে অভিযোগ।

মাহেকের অভিযোগ, অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যায় তাঁর প্রথম সন্তান জন্মানোর পরে। স্বামী চেয়েছিলেন পুত্রসন্তান। কিন্তু মাহেক জন্ম দেন ফুটফুটে এক কন্যার। এর পর দু’বার অন্তঃসত্ত্বা হন মাহেক। দু’বারই গর্ভের সন্তান নষ্ট করে দিতে বাধ্য করা হয়। কারণ, ভ্রূণ নির্ধারণ অপরাধ হলেও পরিচিত এক চিকিৎসককে দিয়ে আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষা করানো হত। এখানেই শেষ নয়।

বধূর অভিযোগ, পুত্রসন্তানের জন্য এর পর স্বামী তাঁকে বাধ্য করেন শ্বশুর এবং দেওরের ঘনিষ্ঠ হতে। কয়েক মাস ধরে অত্যাচারিত হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, দিনের পর দিন তাঁকে শ্বশুর এবং দেওর শারীরিক এবং মানসিক ভাবে অত্যাচার করেছেন। স্বামীকে জানিয়ে কোনও লাভ হয়নি। উল্টে জুটেছে লাঞ্ছনা।

দিন কয়েক আগে একমাত্র মেয়েকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হন মাহেক। তিনি জানান, তাঁকে শাসানো হয়েছে, যত দিন না দাবি মতো পণ জোগাড় করতে পারবেন, তত দিন শ্বশুরবাড়িতে তাঁর জায়গা হবে না। শুক্রবার পুলিশ জানিয়েছে, মহিলার স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি, দেওর, ননদ-সহ মোট সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে তারা।

Domestic Violence Uttar Pradesh Kanpur Crime
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy