Advertisement
E-Paper

বিয়ের আগে পাত্রীর ঘরে হুড়মুড় করে ঢুকে পড়লেন চার আগন্তুক, চোখেমুখে পেট্রল ছিটিয়ে ‘আক্রমণ’!

পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার দুপুর ১টা নাগাদ রাঁচীর অদূরে এক গৃহস্থের বাড়িতে ঢুকে পড়েন চার অজ্ঞাতপরিচয় যুবক। কয়েক দিন পরে ওই বাড়ির মেয়ের বিয়ে রয়েছে। তাই পরিবারের সকলেই ব্যস্ত ছিলেন। সেই সুযোগে সোজা পাত্রীর ঘরে ঢুকে পড়েন চার জন।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৫ ১৩:০৩
Petrol Attack

—প্রতীকী চিত্র।

আর কয়েক দিন পর মেয়ের বিয়ে। বাড়িতে প্রস্তুতি তুঙ্গে। তার মধ্যেই চাঞ্চল্যকর ঘটনা। সোজা পাত্রীর ঘরে ঢুকে তাঁর চোখেমুখে, গায়ে পেট্রল ঢেলে দিলেন চার আগন্তুক। আগুন ধরানোই হয়তো পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। তবে তরুণীর চিৎকার-চেঁচামেচিতে দৌড়ে পালান চার জন। চোখে-মুখে তীব্র জ্বালা-যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই তরুণী। তাঁর একটি চোখের কর্নিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের কাঙ্কে থানা এলাকায়। রবিবার এ নিয়ে রাজনৈতিক শোরগোল সে রাজ্যে। দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতারির নির্দেশ দিয়েছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। পাল্টা আইনশৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগ করেছেন বিরোধীরা।

পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার দুপুর ১টা নাগাদ রাঁচীর অদূরে এক গৃহস্থের বাড়িতে ঢুকে পড়েন চার অজ্ঞাতপরিচয় যুবক। কয়েক দিন পরে ওই বাড়ির মেয়ের বিয়ে রয়েছে। তাই পরিবারের সকলেই ব্যস্ত ছিলেন। সেই সুযোগে সোজা পাত্রীর ঘরে ঢুকে পড়েন চার জন। কিছু বুঝে ওঠার আগে তরুণীর সারা গায়ে তরল পদার্থ ছিটিয়ে দেন তাঁরা। তরুণীর চিৎকার-চেঁচামেচিতে সকলে দৌড়ে পালিয়ে যান।

জখম এবং আতঙ্কগ্রস্ত ওই তরুণীকে কাশ্যপ মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছে পরিবার। প্রাথমিক ভাবে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে, যে তরল তাঁর গায়ে ছেটানো হয়েছে, সেটি অ্যাসিড নয়, পেট্রল। হাসপাতাল সূত্রে খবর, রোগীর চোখ এবং মুখের একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাঁর একটি চোখের কর্নিয়ার ক্ষতি হয়েছে। সুস্থ হতে দিন কয়েক লাগবে।

তরুণীর ঘরে ঢুকে তাঁকে আক্রমণে জড়িতদের অবিলম্বে ধরার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। সমাজমাধ্যমে তিনি জানান, আক্রান্তের শারীরিক পরিস্থিতি সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজখবর নিচ্ছেন। রোগিণীর চিকিৎসার যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করবে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি দ্রুত দোষীদের পাকড়াওয়ের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পাল্টা ঝাড়খণ্ডে নারীসুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। ওই দলের ঝাড়খণ্ডের রাজ্য সভাপতি বাবুলাল মারান্ডির কটাক্ষ, ‘‘নারীদের উপর একের পর এক আক্রমণের ঘটনা ঘটছে। কিন্তু পুলিশ-প্রশাসন বোবা দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।’’ রাজ্য সরকারের কাছে তাঁর আর্জি, তৎপরতার সঙ্গে সকল দোষীকে ধরা হোক। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। তাঁরা কারা, কেন এই আক্রমণ, সব জানার চেষ্টা চলছে।

Crime Jharkhand
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy