যোগী আদিত্যনাথ।
অবৈধ কসাইখানা বন্ধের নামে যে ভাবে হাতরসে মাংসের দোকান পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, তাতে বেজায় চটেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। স্বঘোষিত গোরক্ষক এবং নীতিপুলিশদের কড়া হাতে ঠেকানোর নির্দেশ দিলেন পুলিশ প্রশাসনকে।
পর পর মাংসের দোকানে হামলা নিয়ে প্রশাসনিক আধিকারিকদের ডেকে রীতিমতো ধমক দিয়ে আদিত্যনাথ বলেছেন, এ সব আটকাতে হবে। কড়া হাতে দমন করতে হবে। পাশাপাশি জানিয়ে দেন, এ রকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি তিনি মোটেই বরদাস্ত করবেন না।
মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েই গত ২১ মার্চ দুটো অবৈধ কসাইখানা বন্ধ করে দেন তিনি। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মুখ্যমন্ত্রীর এহেন পদক্ষেপকেই ‘ঢাল’ বানিয়ে মাঠে নেমে পড়েছেন বেশ কিছু উগ্র হিন্দুত্ববাদী। যার ফলে শুরু হয়ে গিয়েছে পেশিপ্রদর্শনও।
আরও পড়ুন: বছরে দু’বার কেন পালিত হয় শিবাজির জন্মদিন, প্রশ্ন তোলায় সাসপেন্ড অধ্যাপক
আদিত্যনাথ কসাইখানা বন্ধ করার অভিযানে নামার দু’দিনের মধ্যেই হাতরসে বেশ কিছু মাংসের দোকান পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
সদ্য মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছেন আদিত্যনাথ। সফরের শুরুতেই রাজ্যে যে ভাবে একের পর এক ঘটনা ঘটছে, তাতে রীতিমতো উদ্বিগ্নও বটে তিনি। যে সুশাসন ফিরিয়ে আনার আশ্বাসের রথে চড়ে রাজ্যের গদিতে বসেছেন, শুরুতেই এ ভাবে ধাক্কা খেলে সেই আশ্বাস রাজ্যবাসীর কাছে ঠুনকো বলে মনে হবে। আর এটা কখনওই চান না আদিত্যনাথ।
নিজে অবৈধ কসাইখানা বন্ধের অভিযানে নেমেছেন ঠিকই, কিন্তু তাঁর এই পদক্ষেপকে কেউ যদি ঢাল বানিয়ে কোনও ভাবে রাজ্যবাসীকে বিরক্ত না করে সেটা দেখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব রাহুল ভটনগর, প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি (স্বরাষ্ট্র) দেবাশিস পান্ডা এবং ডিজিপি জাভেদ আহমেদকে।
অন্য দিকে আদিত্যনাথ দায়িত্ব নেওয়ার পর দিন থেকেই রাস্তায় নেমে পড়ে পুলিশের অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াড। স্কুল, কলেজের সামনে টহলদারি শুরু হয়। শুরু হয় ইভটিজারদের ধরপাকড়। বিরোধীরা আশঙ্কা প্রকাশ করেন, এর সঙ্গে সঙ্গে ‘লভ জিহাদ’-এর নামে প্রেমিক প্রেমিকাদেরও হেনস্থা করবে নতুন সরকার। কিন্তু আদিত্যনাথ প্রশাসনকে সতর্ক করে দিয়েছেন এ নিয়েও। কোনও রকম নীতিপুলিশি যাতে না চলে সে দিকে কড়া নজর রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ কর্তাদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy