E-Paper

ব্যবসা বাঁচিয়েই একা প্রতিবাদী ওমর

চা বিক্রি করে দিন চলে। আরজি কর নিয়ে নানা সংগঠনের বিক্ষোভে যোগ দিতে পারেন না। তাই একাই প্রতিবাদের পথে নেমেছেন করিমগঞ্জের প্রতিবাদী যুবক ওমর ফারুক।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০২৪ ০৮:১৭
ওমর ফারুক।

ওমর ফারুক। —নিজস্ব চিত্র।

শহরের বিভিন্ন জায়গায় দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করছেন এক যুবক। মুখে প্লাস্টার, হাতে প্লে কার্ড। তাতে লেখা, ‘‘আরজি করের নিগৃহীতার পক্ষে আপনারা কথা না বললে কে বলবে!’’

চা বিক্রি করে দিন চলে। আরজি কর নিয়ে নানা সংগঠনের বিক্ষোভে যোগ দিতে পারেন না। তাই একাই প্রতিবাদের পথে নেমেছেন করিমগঞ্জের প্রতিবাদী যুবক ওমর ফারুক। করিমগঞ্জ শহরের রাস্তার মাঝখানে একা দাঁড়িয়ে এই অভিনব প্রতিবাদ সকলের নজর কেড়েছে। কখনও তিনি দাঁড়িয়েছিলেন পেট্রোল পাম্প পয়েন্ট, কখনও করিমগঞ্জ কলেজের সামনে বা শম্ভু সাগর পার্কে। এক ঘণ্টা ঠায় দাঁড়িয়েছিলেন ছন্তর বাজার পয়েন্টের সামনে।

প্রতিবাদী যুবক ওমর ফারুক করিমগঞ্জ জেলারই বাখরশাল গ্রামের বাসিন্দা, পেশায় চা বিক্রেতা। ঘণ্টা পাঁচেকের নীরব প্রতিবাদে শেষে মুখের প্লাস্টার খুলে বলেন, বড় ভারাক্রান্ত মন। সমাজমাধ্যমে ঘটনাটা শুনে বুক ফেটে গিয়েছে। এমন ঘটনার পরেও প্রতিবাদ না জানাতে পারলে, বাঁচাটাই যে বৃথা।

কিন্তু দু’দিন ধরে বিভিন্ন সংগঠন মিছিল করছে, বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। তিনি তাতে সামিল না হয়ে একেবারে একা কেন? ফারুকের স্পষ্ট জবাব, অন্য সময়ে যখন প্রতিবাদ হয়, বেশি মানুষ জমা হন, তখন আসলে তাঁর ব্যবসার সময়। ওই সময়েই কয়েক কাপ চা বেশি বিক্রি করা যায়। কিন্তু তাই বলে একেবারে চুপ করে বসে থাকতে পারছিলেন ফারুক। বলেন, ‘‘আমারও বোন রয়েছে। এক জন গুয়াহাটিতে পিএইচডি করছে। অন্য জন নার্স। তাদের কথা ভেবেই প্রতিবাদে
নেমে পড়ি।’’

এ দিকে, দেশের অন্যান্য স্থানের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে করিমগঞ্জের চিকিৎসকরাও কর্মবিরতি পালন করে চলেছেন। সরকারি হাসপাতালগুলিতে জরুরি পরিষেবা ছাড়া অন্য সব বন্ধ । এমনকি ব্যক্তিগত চেম্বারেও রোগী দেখছেন না ডাক্তাররা।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

R G Kar Medical College and Hospital Assam

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy