প্রতীকী ছবি।
বিজেপি শাসিত কর্নাটকের গ্রামীণ উন্নয়ন এবং পঞ্চায়েত মন্ত্রী ঈশ্বরাপ্পার বিরুদ্ধে বড় অঙ্কের ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ তুলে শিরোনামে এসেছিলেন তিনি। মঙ্গলবার বেলাগাভি অঞ্চলের বাসিন্দা সেই কনট্র্যাক্টর, সন্তোষ পাটিলের দেহ উদ্ধার করা হল উদুপির একটি হোটেল থেকে।
প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রীর ইস্তফা দাবি করে সরব বিরোধীরা। তবে সেই দাবি উড়িয়ে ঈশ্বরাপ্পা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, সন্তোষকে তিনি চিনতেনই না। ফলে ইস্তফার কোনও প্রশ্নই নেই।
কিছু দিন আগে সন্তোষ অভিযোগ করেন যে একটি বরাতের ভিত্তিতে কাজ শেষ করার পর তাঁর থেকে পারিশ্রমিকের প্রায় ৪০ শতাংশ ঘুষ হিসাবে চাওয়া হয়েছিল মন্ত্রীর তরফে। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দেন মন্ত্রী। পাশাপাশি সন্তোষের বিরুদ্ধে মানহানির মামলাও দায়ের করেন তিনি। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে সন্তোষের একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ। যেখানে তাঁকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়ার জন্য ঈশ্বরাপ্পাকে সরাসরি দায়ী করে গিয়েছেন তিনি।
পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন একটি বেসরকারি লজ থেকে উদ্ধার করা হয় সন্তোষের নিথর দেহ। পাশের ঘরেই ছিলেন তাঁর বন্ধুরা। আত্মঘাতী হওয়ার আগে পাটিল বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের কাছে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ পাঠান বলে জানিয়েছে পুলিশ। লেখেন, তিনি আত্মহত্যা করতে চলেছেন এবং তার জন্য দায়ী ঈশ্বরাপ্পা।
বিষয়টি সামনে আসার পরে ঈশ্বরাপ্পার মন্ত্রী পদে থাকার বিরুদ্ধে জোরদার সওয়াল শুরু করেছেন বিরোধীরা। বিজেপি কর্মী বলে পরিচিত সন্তোষের স্ত্রীয়ের একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ টুইট করেছেন কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা। যেখানে ‘ঘুষের টাকা জোগাড় করতে’ তিনি তাঁর গয়না বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন বলে লিখেছেন ওই মহিলা।
বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করার দাবি জানিয়ে সরাসরি বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডার দিকে তোপ ছুড়ে দিয়েছেন সুরজেওয়ালা। বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে কাঠগড়ায় তুলেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধীও। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইয়ের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন তিনি।
তবে ঈশ্বরাপ্পার মন্তব্য, ‘‘ইস্তফার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। সন্তোষ পাটিলের বিরুদ্ধে যে মামলা আমি করেছি তার রায়ের জন্য অপেক্ষা করতে হবে আমাদের। আমি স্পষ্ট করে দিতে চাই যে বিষয়টির সঙ্গে আমি কোনও ভাবেই জড়িত নই।’’ সন্তোষের সঙ্গে তার কোনও পরিচয় নেই বলে বার বার দাবি করে এসেছেন মন্ত্রী। সাংবাদিকদের তিনি এ দিন বলেন, ‘‘মামলা দায়ের করার পরে তাঁর (সন্তোষ) কাছে একটি নোটিস পাঠানো হয়েছিল। এখন আপনাদের থেকে আমি জানতে পারছি যে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন। এর বাইরে আমি আর কিছুই জানি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy