শেয়ার বাজারে পা রেখেই ইতিহাস গড়ল জোম্যাটো। —ফাইল চিত্র।
শেয়ার বাজারে পা রেখেই ছক্কা হাঁকালো অনলাইন খাদ্য সরবরাহকারী সংস্থা জোম্যাটো। বুধবারই প্রথম বার বাজারে শেয়ার ছাড়ে (আইপিও) তারা। তার পর ৪৮ ঘণ্টাও কাটেনি। তার মধ্যেই তাদের শেয়ার প্রতি মূল্য বাড়ল ৫০ শতাংশেরও বেশি। আর এই বর্ধিত শেয়ার মূল্যে ভর করেই সংস্থার বাজারমূল্য বেড়ে একধাক্কায় ১ লক্ষ কোটি টাকার মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলল। ঢুকে পড়ল দেশের প্রথম ১০০টি সংস্থার তালিকায়।
এক দশকেরও বেশি আগে যাত্রা শুরু জোম্যাটোর। তখনও ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’র স্বপ্ন বুনতে শেখেনি দেশ। সেই সময়ই ভোজনবিলাসীদের কথা মাথায় রেখে স্টার্টআপটি শুরু করেন পঙ্কজ চাড্ডা এবং দীপেন্দ্র গয়াল। পরবর্তী কালে তাতে বিনিয়োগ করে ইনফো এজ এবং চিনের অ্যান্ট গ্রুপ। শুরুতে ভাল রেস্তরাঁ, তাদের মেনু এবং খাবারের গুণমান নির্ধারণ করাই কাজ ছিল সংস্থার। ‘দুয়ারে খাবার’ পরিষেবা শুরু হয় পরে। বর্তমানে বিশ্বের ২৪টি দেশে খাবার সরবরাহে যুক্ত জোম্যাটো।
তবে ২০০৮ সালে স্টার্টআপ নিয়ে নামলেও, গত বুধবারই প্রথম শেয়ার বাজারে পা রাখে জোম্যাটো। শেয়ার প্রতি দাম রাখা হয় ৭৬ টাকা। কিন্তু শুক্রবার সকালে বাজার খুলতে নথিভুক্তিকরণ শুরু হলে, বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ (বিএসই)-এ তাদের প্রত্যেক শেয়ারের দাম বেড়ে ১১৫ টাকায় পৌঁছয়। অর্থাৎ এক দিনের ব্যবধানে ৫১.৩২ শতাংশ বৃদ্ধি। ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ (এনএসই)-এ জোম্যাটোর শেয়ারে ৫২.৬৩ শতাংশ বৃদ্ধি ঘটে। প্রত্যেক শেয়ারের দাম বেড়ে হয় ১১৬ টাকা। দুপুর ১২টা নাগাদ তা বেড়ে ১২৬.৫ টাকায় পৌঁছয়।
বিএসই সূত্রে খবর, মোট ৯ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকার শেয়ার বাজারে ছাড়ে জোম্যাটো। তা কেনার জন্য কার্যত হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। এখনও পর্যন্ত ২ লক্ষ ১৩ হাজার কোটি টাকা ঘরে তুলেছে জোম্যাটো, যা শেয়ার বাজারের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ। শুধু তাই নয়, শেয়ার বাজারে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গেই ‘ইউনিকর্ন’ তকমা পেয়ে গিয়েছে জোম্যাটো। যে সমস্ত সংস্থার বাজার মূল্য ৭ হাজার ৪০০ কোটি টাকার বেশি (১০০ কোটি ডলার) হয়, শেয়ার বাজারের ভাষায় তাদের ‘ইউনিকর্ন’ বলা হয়।
জোম্যাটোর এই রকেট উত্থানে তাদের শেয়ার কিনতে হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে জোম্যাটোকে বেছে নেওয়া যাতে পারে বলেও মনে করছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy