নরেন্দ্র মোদীর সরকারে মন্ত্রীরা তাঁদের পরিবারের সদস্যদের নিজেদের ইচ্ছে মতো ব্যক্তিগত সচিব বা অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি (ওএসডি) করতে পারবেন না। মন্ত্রিসভার নিয়োগ কমিটির অনুমতি নিয়েই এই নিয়োগ করতে হবে। নতুন সরকারকে দুর্নীতিমুক্ত করে তুলতেই এই নির্দেশ দিয়েছেন মোদী।
প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় সূত্রের মতে, দু’দিন আগেই প্রধানমন্ত্রীর দফতরের অধীনে পার্সোনেল দফতর এই মর্মে একটি পরামর্শ জারি করে বিভিন্ন মন্ত্রীদের টেবিলে পৌঁছে দেয়। বলা হয়, মন্ত্রীদের ব্যক্তিগত কর্মী ও ডেপুটি সচিবের উপরের স্তরে কাউকে নিয়োগ করতে হলে মন্ত্রিসভার নিয়োগ কমিটির আগাম অনুমতি নিতে হবে। ভবিষ্যতে ব্যক্তিগত সচিব নিয়োগের ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। নির্দেশিকায় অবশ্য পরিবারের সদস্যদের নিয়োগ না করার বিষয়টির উল্লেখ ছিল না। কিন্তু আজ প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে সব মন্ত্রীর কাছে ফোন করে বলা হয়, এই নিয়োগের সময় পরিবারের কাউকে বাছা যাবে না। তাঁদের বলা হয়েছে, দলের পক্ষ থেকে তালিকা তৈরি করা হবে। তার মধ্যে থেকেই স্থির হবে কোন মন্ত্রকে কারা ব্যক্তিগত সচিব বা ওএসডি হবেন।
ইউপিএ জমানাতে দুর্নীতির বড়সড় অভিযোগ ওঠে প্রাক্তন রেলমন্ত্রী পবন বনশলের বিরুদ্ধে। তাঁর পরিবারের দু’জনকে বনশল ওএসডি (অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি) ও ব্যক্তিগত সচিব করেছিলেন। অভিযোগ ওঠে, তাঁদের মাধ্যমে দুর্নীতি হত। যার ফলে মন্ত্রকও খোয়াতে হয় বনশলকে। অতীতে অনেক মন্ত্রকে দেখা গিয়েছে সরকারি ক্যাডারের বদলে পরিবারের কাউকে মন্ত্রকে ঠাঁই দেওয়া হয়েছে। এ বারে সেই প্রথা গোড়াতেই বন্ধ করতে চাইছেন মোদী। দলের নেতা ও কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, “এই সিদ্ধান্ত স্বাগত। প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারকে স্বচ্ছ রাখতে বদ্ধপরিকর। পরিবারের লোকদের মন্ত্রকে নিয়োগ করার প্রশ্নই উঠছে না।’’ কংগ্রেসের মুখপাত্র অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি অবশ্য বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, “পবন বনশনের কথা জানি না। কিন্তু এটাই তো রীতি হওয়া উচিত। এর মধ্যে অভিনবত্বের কী আছে?” মোদী এ-ও জানিয়েছেন, সরকারি কাজের বরাত যাতে পরিজনরা না পায়, তা-ও নিশ্চিত করতে হবে মন্ত্রীদের।
ইউপিএ-জমানায় অসংখ্য দুর্নীতি ডেকে এনেছে ভোট বিপর্যয়। এ বার তাই প্রথম থেকেই সতর্ক মোদী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy