কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিল তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি (টিআরএস)। ফলে, তেলঙ্গানা নিয়ে কংগ্রেসের ভোট পরিকল্পনা ধাক্কা খেল বলে মনে করা হচ্ছে।
আজ হায়দরাবাদের তেলঙ্গানা ভবনে টিআরএস প্রধান কে চন্দ্রশেখর রাও বলেছেন, “কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও জোট হবে না। দেখা যাক, টিআরএস ছেড়ে নেতা-কর্মীরা কংগ্রেসে যোগ দেন না বিপরীত ঘটনা ঘটে।” ইতিমধ্যেই দুই প্রাক্তন মন্ত্রীর কংগ্রেস ছেড়ে টিআরএসে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে।
তেলঙ্গানায় মোট ১৭টি লোকসভা আসন আছে। কংগ্রেস সূত্রে খবর, নয়া রাজ্য গঠনের ঘোষণার পরে টিআরএসের সাহায্যে ওই আসনগুলির সিংহভাগ দখলের ছক কষেছিল দল। তেলঙ্গানা গঠন হলে কংগ্রেসে মিশে যাওয়ার কথা বলেছিল এক সময় টিআরএস। কিন্তু পরে সেই সম্ভাবনা বাতিল করে দেন চন্দ্রশেখর। তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন দিগ্বিজয় সিংহ।
চন্দ্রশেখর আজ বলেন, “আমরা বিশ্বাসঘাতকতা কোথায় করলাম? তখন নয়া রাজ্য পেতে ও সেই দাবিতে যুবকদের আত্মহত্যা রুখতে কংগ্রেসের সঙ্গে মিশে যাওয়ার কথা বলেছিলাম। এখন মানুষ এই সিদ্ধান্তের বিরোধী। তাই আমরাও অন্য পথ ধরেছি।” তাঁর দাবি, “ওই আত্মঘাতী যুবকদের আত্মীয়দের টিকিট দিতে চেয়ে এখন নাটক করছে কংগ্রেস।”
রাজনৈতিক শিবিরের মতে, আপাতত দেশে বিজেপি-র পক্ষে অনুকূল হাওয়া থাকার কথা শুনে নিজের অঙ্ক কষছেন চন্দ্রশেখর। তেলঙ্গানায় নয়া রাজ্য হলে কেন্দ্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখাই তাঁর পক্ষে লাভজনক। বিজেপিও তেলঙ্গানা বিলকে সমর্থন করেছিল। তাই তাদের সঙ্গে হাত মেলালে টিআরএসের বিশেষ ক্ষতি হবে না।
আবার তেলঙ্গানা তথা অন্ধ্রে নয়া শরিক পেলে লাভ হবে বিজেপিরও। ওই এলাকায় তাদের শক্তি বিশেষ নেই। তাই চন্দ্রশেখরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সংগঠন বিস্তারের চেষ্টা করবে তারা। এক টিআরএস নেতার মতে, কংগ্রেসের তেলঙ্গানায় সংগঠন রয়েছে। তাই দর কষাকষির সময়ে বেশি আসন চাইতে পারত তারা। কিন্তু বিজেপিকে কম আসন দিয়েও এগোতে পারা যেতে পারে বলে মনে করছে টিআরএস।
তাই অন্য পথের কথা ভাবছেন চন্দ্রশেখর রাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy